Uric Acid: ইউরিকের অ্যাসিডের মাত্রা (Uric Acid Level) শরীরে বেশি থাকলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। মূলত পায়ে যন্ত্রণা হতে দেখা যায় এর প্রভাবে। এছাড়াও পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাবে (Uric Acid Side Effects) কিডনি বিকল হতে পারে। ক্রমশ কর্মক্ষমতা কমবে কিডনির। অর্থাৎ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ সঠিকভাবে নির্গত হতে পারবে না। আর এমনটা হলে সার্বিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন আপনি। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে হৃদযন্ত্রেও। হার্টে ব্লকেজ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক - এইসব হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, ত্বকে র‍্যাশ, হাড়ের ক্ষয়, জয়েন্ট বা শরীরের বিভিন্ন গাঁটে যন্ত্রণা - এই সমস্যাগুলি লক্ষ্য করা যায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। 


বেশ কিছু পানীয় রয়েছে যেগুলি খেলে আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই তালিকায় কোন কোন পানীয় রয়েছে দেখে নিন। 



  • পাতিলেবুর রস ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবুর রস ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে তা কমাতেও সাহায্য করে। দিনের শুরুটা তাই করুন হাল্কা গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে তারপর ওই পানীয় খেয়ে। 

  • কফি খেলেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে কিংবা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে দিনে এক-দু কাপের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়। আর দুধ-চিনি মেশানো কফি খেলে কিংবা ক্রিম যুক্ত কফি খেলে উপকারের থেকে স্বাস্থ্যের অপকার বেশি হবে। অতএব চিনি ব্ল্যাক কফি খাওয়াই শ্রেয়। 

  • আদা চা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। এর সাহায্যেই কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। এছাড়াও গাঁটে ব্যথা-যন্ত্রণাতেও উপশম দেবে আদা চা। তাই দিনে এক থেকে দু'বার খেতে পারেন আদা চা। আদার রস মিশিয়ে নিন চায়ের মধ্যে। কিংবা আদা ঘষে তা দিন চায়ের মধ্যে। 

  • হাল্কা গরম দুধের মধ্যে মিশিয়ে নিন এক চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো। এই পানীয় খেলে আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। তাই হলুদ মেশানো গরম দুধ আপনি খেতেই পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই পানীয় খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। 


আরও পড়ুন- ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, নিয়মিত কেন খাবেন স্বাস্থ্যকর এই পানীয়? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।