ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ১২৯ বছরে পা দিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো (Durga Puja 2024)। গত চারবছর প্রণবহীন কীর্ণাহারের মিরিটির মুখোপাধ্য়ায় পরিবারের দুর্গাপুজো। প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এখন পুজোর তত্ত্বাবধান করেন।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো: আজ সপ্তমী। আনুষ্ঠানিকভাবে এদিনই পুজো শুরু। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিককে নিয়ে মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশ। ভোরে গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তারপর শাস্ত্রমতে ষোড়শ উপচারে শুরু সপ্তমীর পুজো। কিন্তু মিরাটির বাড়িতে হারিয়ে গিয়েছে পুজোর প্রাণ। ২০২০ সালে প্রয়াত হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাই কিছুটা হলেও কমেছে পুজোর জৌলুস। প্রণববাবু থাকাকালীন যে জৌলুস দেখা যেত পুজো মণ্ডপে, এখন আর তা নেই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসতেন। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর রাজনৈতিক নেতাদের ভিড় নেই। আগে প্রণববাবু চণ্ডীপাঠ করতেন। এখন সেই দায়িত্ব পালন করেন পুরোহিত। তবে পুজোর ক’দিন আমন্ত্রিতদের দুপুরে পাত পেড়ে খাওয়ানোর রীতি এখনও বজায় রেখেছে মিরিটির মুখোপাধ্যায় পরিবার। মহাসপ্তমীতে নিয়ম মেনে হয়েছে কলাবউ স্নান। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় অংশ নেন বাড়ির পুজোতে।
পুজোয় মেতেছে অন্যান্য জেলার বনেদি বাড়িও। বিষ্ণুপুরের মল্ল বাড়িতে সপ্তমীর পুজো। পুষ্পাঞ্জলি দিচ্ছেন বহু মানুষ। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন মা মৃন্ময়ীর মন্দিরে। কথিত আছে, ১ হাজার ২৮ বছরের পুরনো বিষ্ণপুরের মল্ল রাজবাড়ির পুজো। অন্যদিকে উৎসবের মেজাজ মহিষাদল রাজবাড়িতেও। আড়াইশো বছরের বেশি পুরনো মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো।প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আচার। বনেদিয়ানার জৌলুস কমলেও এখনও সাধারণ মানুষ ভিড় করেন পুজো দেখতে। আগে তিথি অনুযায়ী, সপ্তমীতে ৭ মণ, অষ্টমীতে ৮ মণ চালের ভোগ নিবেদন করা হত। সন্ধিপুজোয় কামান দাগার রেওয়াজ থাকলেও এখন তা বন্ধ। শিকারের জন্য রাজ পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করা তরোয়াল এখন দেবী মূর্তির পায়ের কাছে রাখা থাকে। রীতি মেনে করা হয় তরোয়াল পুজো। পুজোয় মেতেছে কাশিমবাজার রাজবাড়িও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2024: ১৮ দিন ধরে উৎসব, মহা সমারোহে দেবীর আরাধনা আরামবাগের রায় পরিবারে