রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি (Durga Puja 2024)। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে মা দুর্গার আরাধনা করছেন তাঁরা। দেবীকে তুষ্ট করতে এখানে রয়েছে একাধিক নিয়ম। পুজোর যখন বাকি আর মাত্র কয়েকদিন তখন মা এবং তাঁর চার সন্তানকে সাজিয়ে তুলতে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন বাড়ির সদস্য়রা। 


মা দুর্গার আরাধনা: লাল পাড় সাদা শাড়িতে সেজে উঠছেন তিনি। কথিত আছে একটা নয় একসঙ্গে চারটে শাড়ি লাগে দেবীর কারণ, প্রতিমার কাঠামোর উচ্চতা এতটাই যে একটা শাড়িতে কুলোয় না। এইভাবেই বছরের পর বছর ধরে দুর্গাপুজো হচ্ছে জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে। এ বছর ৫১৫ বছরে পদার্পণ। কথিত আছে, ৫১৫ বছর আগে চার ভাই মিলে অসমের একটি জঙ্গলে পুজো শুরু করেন। পরে, বংশানুক্রমিকভাবে একটি পুজো চলে আসে কোচবিহার রাজবাড়িতে, আরেকটি পুজো জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে। রাজবাড়ির সদস্য প্রণত বসু বলেন, "৯১৭ বঙ্গাব্দে একদিন ঠিক করা হল মা ভগবতীর পুজো করা হবে। চার ভাই এবং সঙ্গী সাথী মিলে মায়ের বিগ্রহ তৈরি করলেন। এই দুর্গাপুজো আরম্ভ হল নরবলি দিয়ে। আজও সেই প্রথা চলে আসে। ওটা বলে অর্ধরাত্রির পুজো। ওটা কাউকে দেখতে দেওয়া হয় না। চালের গুঁড়ো দিয়ে মানুষের আকৃতি করে মায়ের নিবেদন করা হয়। সেইভাবেই পুজো চলছে। 

বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতেও এখন চরম ব্য়স্ততা। মা এবং তাঁর চার সন্তানকে সাজিয়ে তুলতে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রত্য়েকে। ঐতিহ্য় ধরে রাখতে মরিয়া বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির সদস্য়রা। রাজবাড়ির পুরোহিত শিবু ঘোষাল বলেন, "প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত পুজো। তারপর ষষ্ঠীর সকালে ষষ্ঠী পুজো, সন্ধেয় আমন্ত্রণ, অধিবাস, বোধন করে সপ্তমীতে নবপত্রিকা হয়। অর্ধরাত্র্রির পুজোতে পায়রা বলি হয়। দশমীতে পান্তা ভাত, কচু শাক, ইলিশ মাছ এবং পুঁটি মাছ নিবেদন করা হয়।'' 


এদিকে এদিন পুজোর ম্যাপ প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ। সেখানে কলকাতা পুলিশের সিপি বার্তাদেন, 'আশা করি পুজোয় শান্তি থাকবে। তবে মণ্ডপে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ হলে তৈরি আছে পুলিশ।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Durga Puja 2024:সরকারি অনুদান ফেরত, নেই বিজ্ঞাপনও, অনাড়ম্বরভাবে পুজোর আয়োজন বেলগাছিয়ায়