কলকাতা: বাঁশদ্রোণীতে (Bashdroni Student Death) পে-লোডারে পিষ্ট হয়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ২। ঘটনার দুদিন পর পে-লোডারের চালক ও মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার দিন পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। 


ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার: বুধবার, বাঁশদ্রোণীতে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময়, পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হল গড়িয়ার রেনিয়ার বাসিন্দা, গঙ্গাপুরী শিক্ষাসদন হাইস্কুলের পড়ুয়ার। পে লোডারের ধাক্কায় পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁশদ্রোণী। পাটুলি থানার ওসিকে নামানো হল কাদা জলে। উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ কর্মীদের কলার ধরে হুঁশিয়ারি দিল উত্তেজিত জনতা। শেষমেশ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পুলিশ অফিসারদের উদ্ধার করলেন যিনি, তিনি নিজেকে বিজেপি কর্মী বলে পরিচয় দিলেন। যদিও তিনি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত এলাকায়। পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। আর এবার গ্রেফতার করা হল ঘাতক পে লোডারের চালক এবং মালিককে। 


একটা তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ার পর অবশেষে হুঁশ ফিরেছে পুরসভার। যে রাস্তা গত ৭-১০ বছরেও সারানো হয়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ, একটা মৃত্য়ুর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই, শুরু হয়ে গেল রাস্তা মেরামতি। বুধবার ঘটে দুর্ঘটনা...প্রাণ যায় কিশোরের। আর বৃহস্পতিবারই বাঁশদ্রোণীর দীনেশ নগরে শুরু হয়ে গেল রাস্তা সারাই। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১০-১৫ বছর ধরে রাস্তা বেহাল। কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু বছরের পর বছর কেটে গেলেও, শেষ করার কোনও উদ্য়োগ পুরসভার দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়। এত বছরেও যা হয়নি, পুরসভা রাতারাতি সেই উদ্যোগ নেওয়ায় অবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও। এই কাজটাই আগে হলে, এভাবে ছেলেকে হারাতে হত না, আক্ষেপ মৃতের বাবার। 

বুধবার, দুর্ঘটনার পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাঁশদ্রোণীর দীনেশ নগর এলাকা। খারাপ রাস্তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও এলাকায় দেখা যায়নি কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারকে। এদিও খারাপ রাস্তার দায় নিতে রাজি নন ১১ নম্বর তারকেশ্বর চক্রবর্তীর বরো চেয়ারম্য়ান। উল্টে ১৪ বছর আগে, বিদায় নেওয়া, বাম সরকারকে টেনে এনেছেন তিনি। টেনে এনেছেন প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। তিনি বলেন, "জায়গাটা অনুন্নত ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওখানে বিধায়ক ছিলেন। আমরা KEIP দিয়ে মানুষের যন্ত্রণামুক্তির কাজ করছিলাম, ২০১৭ থেকে শুরু। তাঁতিয়া গ্রুপকে সরিয়ে দেয় KEIP। অন্য এজেন্সি আসে, করোনাকালে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। KEIP-র কাজ নিয়ে আমরা তিতিবিরক্ত। বলে মুখ ব্যথা হয়ে গেছে। কাজ করলেও দোষ না করলেও দোষ।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Katwa Student Death: স্কুলে সাপের কামড়, বিকেলে মৃত্যু পড়ুয়ার, ধুন্ধুমার কাটোয়ায়