কলকাতা: একটা সময় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে আগুনে বক্তৃতা দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। পরে অবশ্য বিভিন্ন কারণে দলের বিরাগভাজন হন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) নেত্রী রাজন্যা হালদারকে নিলম্বিত করা হয়।
এবার সজল ঘোষের পুজো হিসাবে পরিচিত সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার দেখতে হাজির হয়ে গেলেন রাজন্যা হালদার। স্বামী প্রান্তিককে নিয়ে। সেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, যাদের এবারের বিষয়ভাবনা অপারেশন সিঁদুর হইচই ফেলে দিয়েছে। যে পুজোর উদ্বোধন করে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের থিম দেখে মুগ্ধ রাজন্যা। এবিপি আনন্দকে তিনি বলেছেন, 'সজল ঘোষের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। এবং সেটা অনেক পুরনো সম্পর্ক। সেই কংগ্রেস আমলের সম্পর্ক আমার বাবার সঙ্গে। এই পুজো আমি ছোটবেলায়ও দেখতে এসেছি। আজও দেখতে এলাম বড় হয়ে। অপারেশন সিঁদুর তো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটা দেশগত বিষয়। দেশকেন্দ্রিক বিষয়। নেশন কামস ফার্স্ট। আগে আমি ভারতীয়, তারপর আমি বাঙালি। ভারতবর্ষের বিষয় যখন সেটা একটা ইস্যু এবং সেই ইস্যুটা আবেগকেন্দ্রিক ইস্যু। মানুষ এসেছে। এত মানুষের ঢল। নন স্টপ মানুষ এসেই যাচ্ছে। এই মানুষের আবেগ উচ্ছ্বাস সেটাই প্রমাণ করে দেয় যে এই পুজোর কনসেপ্ট মানুষের ভাল লেগেছে।'
সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো ঘিরে বেনজির সংঘাতের ছবি দেখেছে রাজ্য। পুজো বন্ধে পুলিশি চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষের। 'পুজো বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে উদ্যোক্তাদের ওপর দায় চাপানোর পরিকল্পনা। বড় রাস্তা আটকে দর্শনার্থীদের সরু রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছে। নিরঞ্জনের আগেই নিরঞ্জন করে দিতে হতে পারে', পুলিশের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ অভিযোগ বিজেপি নেতা ও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষের। নিরাপত্তার প্রশ্নে আপস নয়, বার্তা পুলিশ কমিশনারের। সাধারণের নিরাপত্তাই সবচেয়ে জরুরি। তার জন্য় যা যা করতে হবে, পুলিশ করছে', সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো নিয়ে বার্তা পুলিশ কমিশনারের।
রবিবার ষষ্ঠী। দেবীর বোধন। কিন্তু, তার আগেই শনিবার বিসর্জনের হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজোর অন্য়তম উদ্য়োক্তা এবং বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের মুখে! পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং হেনস্থার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বেনজির হুমকি দিলেন তিনি!সজল ঘোষ বলেন, 'যদি পুলিশ আমাদেরকে বাধা দেয়, আমরা আমাদের মণ্ডপের আশেপাশে আমরা যে আলোগুলো লাগিয়েছি, পুজো কমিটি যে লাইট লাগিয়েছে, সরকারি লাইট নয়। আমরা সেই লাইটগুলো নিষ্প্রদীপ করব। ঠাকুরের মুখ আমরা কালো কাপড়ে ঢাকব এবং, আমরা পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে, আমরা যদি দরকার হয়, মাকে নিরঞ্জনের আগে নিরঞ্জনের ব্য়বস্থা করে দেব। এছাড়া আমার কাছে আর কিছু করার নেই। আমরা পার্মানেন্টলি বন্ধ করব। মানুষ তার বিচার করবেন। মানুষের কাছে এই আবেদন রাখলাম।'