ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) পর এবার বিজেপি। দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) বীরভূমের বিভিন্ন পুজো কমিটিকে ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দিতে চলেছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথই অনুসরণ করতে হচ্ছে, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। প্যান্ডেলে প্য়ান্ডেলে মানুষের ঢলও নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এখন পুজোর সঙ্গেও পুরোদস্তুর জড়িয়ে গেছে রাজনীতি। কে পুজো থেকে কত ডিভিডেন্ট নিতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য়ে রীতিমতো চলছে প্রতিযোগিতা। ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। অন্যদিকে কলকাতায় এসে পুজোর উদ্বোধন করে গেলেন অমিত শাহ


ইদানিং পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়েও শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা। একদিকে যখন এ বছর রাজ্য সরকার পুজো কমিটি পিছু অনুদান ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করেছে, তখন রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেও, একই পথে হাঁটছে বিজেপিও। মণ্ডপ পিছু তারা অনুদান দিতে চলেছে ৩০ হাজার টাকা, ৫০ হাজার টাকা এবং ৮০ হাজার টাকাও। অর্থাৎ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুদানের থেকেও বেশি। যেমন অনুব্রতহীন বীরভূমে, জনসংযোগে জোর দিতে ২০০-র বেশি পুজো কমিটিকে আর্থিক অনুদান দিতে চলেছে বিজেপি (BJP)।


গেরুয়া শিবিরের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যে সব পুজো কমিটি, রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদান পাবে না, বা নেবে না, তাদের বিজেপির তরফে টাকা দেওয়া হবে। তবে শর্ত হিসেবে, সেই ক্লাব বা পুজো কমিটিতে অন্তত মণ্ডল স্তরের একজন বিজেপি নেতাকে রাখতে হবে।

একদিকে পুজো কমিটিকে অনুদান বাড়িয়েছে তৃণমূল সরকার। একই পথে হেঁটে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপিও। সব মিলিয়ে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবেও এখন অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা।                                                                                                                                                  

আরও পড়ুন- এবার দুবাইয়ে মিলল রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমানের জোড়া ফ্ল্যাটের হদিশ, ছিল পালানোর পরিকল্পনা ?