কলকাতা : কাল মহালয়া। তার আগে কলকাতার আজ শনিবার কলকাতার তিনটি বিখ্যাত পূজা মণ্ডপে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির পুজো প্যান্ডেলে গিয়েছেন তিনি। আর শ্রীভূমির পুজো মণ্ডপে গিয়ে ফের ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্থার অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর গলায় শোনা গেল বাঙালি অস্মিতার কথা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'বাংলায় কথা বললেই অত্যাচার করতে হবে? সবারই নিজের মাতৃভাষা আছে, সব ভাষাকে সম্মান করুন। আমাদের এখানেও বাইরের পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করেন। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব মতামতা আছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ না থাকলে দেশ ভাগ হয়ে যাবে।' এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকার বাঙালি অস্মিতা এবং ভিনরাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বলা হলে তাঁদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে বারংবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি এটুকু নিশ্চয় চাই, আমি যেমন আমার মাতৃভাষাকে সম্মান করব, অন্যরাও তাঁদের মাতৃভাষাকে সম্মান করুন, ভালবাসুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা ভাষায় কথা বললে তাঁর উপর অত্যাচার করতে হবে, এই বিষয়ে আমি একমত নই। এখানকার লোক ২২ লক্ষ বাইরে কাজ করেন কারণ তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁরা ট্যালেন্টেড, স্কিলড। এখানেও, অন্য জায়গায় দেড় কোটি মানুষ বাংলায় কাজ করেন। তাঁরাও দক্ষ, প্রতিভাবান, নাহলে কীভাবে কাজ করছেন। প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্বতা আছে। গান্ধীজি, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আম্বেদকর, নজরুল, লাল-বাল-পাল, বালাসাহেব, রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকাকনন্দ, পটেল সাহেব, আমাদের দেশ আমাদের এটাই শিখিয়েছে যে, আমাদের একসঙ্গে বাঁচতে হবে। যেদিন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব না, দেশটা টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। সেটা আমরা চাই না। আমরা চাই আমাদের দেশ ভাল থাকুক, ঐক্যবদ্ধ থাকুক, একসাথে থাকুক, সুন্দর থাকুক।' 

[yt]

এদিন শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন যে, সময় পান না বলে এবার মহালয়ার আগে পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করলেন। অন্যান্যবার মহালয়ার দিন থেকে বা তার পর থেকে মাতৃমূর্তি অর্থাৎ পুজো উদ্বোধন করেন। অতীতে অনেক পুজো মণ্ডপে দেবীর চক্ষুদান করতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন শ্রীভূমির পুজোয় গিয়ে পুজোর গান নিয়েও অনেক কথাই বলেছেন তিনি। ভেসেছেন নস্ট্যালজিয়ায়। জানিয়েছেন, ২০১০-১১ সাল থেকে পুজোর থিম সং তৈরি করে দিয়েছেন বিভিন্ন পুজো ক্লাবকে। এবারও প্রায় ১৭টা গান বেরোবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকতে চলেছে নচিকেতা চক্রবর্তীর গান। থাকবে রাঘব চট্টপাধ্যায়ের গানও।