অর্ণব মুখোপাধ্যায়, বেলুড়: অষ্টমীর পুজোয় বেলুড় মঠে (Belur Math) উপচে পড়ে ভিড়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কুমারী পুজো (Kumari Pujo) শেষের পরেই বেলুড় মঠে ভোগ খাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু হয়েছিল ৯টায়। নির্দিষ্ট সময় পরে তা শেষও হয়। কুমারী পুজো শেষ হওয়ার পর ভোগের জন্য ভক্তদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়ে যায়।


বেলুড় মঠে ড্রামভর্তি খিচুড়ি ভোগ সাজানো হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে ভোগের ঘর। সেখানেই রান্না চলছে। ড্রামে ড্রামে ভরা হচ্ছে খিচুড়ি ভোগ। বড় বড় কন্টেনারে তৈরি হচ্ছে ভোগ। ছোট ছোট গাড়ির মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভোগের বিলির জন্য। এদিন ১২টা থেকে ভোগ বিলি হবে বলে কথা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই প্রবল ভিড় তৈরি হয়। ভিড়ের কারণে সাড়ে দশটা থেকেই খুলে দেওয়া হয় ভোগ ঘর। শুরু হয়ে যায় ভোগ বিলি।


কী কী রয়েছে ভোগে?
বেলুড় মঠের ভোগে খিচুড়ি রয়েছে, তার সঙ্গেই রয়েছে সবজি এবং ভাজা। রয়েছে বোঁদে।


সকাল থেকেই পুজোর (Durga Puja) জন্য লাইন ছিল। তারপরেই ভোগের অপেক্ষায় লাইন দিয়েছেন ভক্তরা। বিশাল হলঘরে ভোগ বিলি করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। পরপর থালাতে ভোগ দেওয়া হচ্ছে। ঝড়ের গতিতে চলছে ভোগ বিলি। তার সঙ্গেই রয়েছে বসে খাওয়ার জন্য বহু জায়গা। ভিড় এতটাও যে ভোগের ঘরে তিলধারণের জায়গাও নেই। অষ্টমী পুজো, কুমারী পুজোর সঙ্গে পুজোর ভোগ-একই সঙ্গে সবকিছুর জন্যই দীর্ঘ লাইন রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠে (Ramakrishna Mission Belur Math)।


বেলুড় মঠে কুমারী পুজো:
ইতিহাস, ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো। দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে আরাধনার পাশাপাশি কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন, এই প্রথা মেনেই প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ৫-৭ বছর বয়সীদের নির্বাচন করা হয় কুমারীপুজোর জন্য। এবারের কুমারী সীমন্তিনী ঘোষাল। বয়স 
৫ বছর ৭ মাস। সুভগা রূপে পুজো করা হল হাওড়ার বাগনানের সীমন্তিনীকে। ১৯০১ সালে মা সারদার উপস্থিতিতে ৯ জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সেই থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। কুমারী পুজো দেখতে সকাল থেকেই বেলুড় মঠে রয়েছে ভিড় জমান ভক্তরা। 


আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের পাড়ার পুজোয় অঞ্জলি রাজ্যপালের, হল আলাপচারিতাও