মনোজ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, পশ্চিম বর্ধমান: পিছু হঠল দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশন (Durgapur Bar Association)। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পর, ACJM-এর এজলাসে কাটল ৬ দিন ধরে চলা অচলাবস্থা। কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশন (Durgapur Bar Association)।


একদিকে, তৃণমূলের পাশে না থাকার বার্তা। অন্যদিকে, বিভিন্ন মহলের প্রবল সমালোচনা ও চাপের মুখে, অবশেষে পিছু হঠল দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পর ACJM-এর এজলাসে কাটল ৬ দিন ধরে চলা অচলাবস্থা।


১১ই জুলাই ভোট গণনার (Elections Counting Day) দিন, কংগ্রেস (Congress)-সিপিএম (CPM) ও বিজেপিকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হন চাকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী রতন মণ্ডল-সহ ১৪ জন। ধৃত রতন মণ্ডল দুর্গাপুর আদালতের মুহুরি। ১২ই জুলাই, দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হলে, ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন দুর্গাপুরের ACJM অসীমানন্দ মণ্ডল। এরপরই ১৩ জুলাই থেকে দুর্গাপুরের ACJM-এর এজলাসে অনুপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা। 


এই প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন দুর্গাপুরের ACJM। জেলা আদালতের বিচারককে দেওয়া চিঠিতে ACJM অসীমানন্দ মণ্ডল বলেন, ১৩ জুলাই, ২০২৩ তারিখে আমার কাছে দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে তাঁদের একটি সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি আসে। সেখানে জানানো হয়েছে, বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা দুর্গাপুরের ACJM-এর এজলাসে উপস্থিত হবে না।


চিঠিতে দুর্গাপুরের ACJM অসীমানন্দ মণ্ডল আরও বলেছেন যে, অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর, আমি যখন অন্য মামলা শুনছিলাম তখন, আইনজীবী ও বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা কোর্টরুমে এসে জামিনের আবেদন খারিজের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার দাবি করেন।


কিন্তু, আমি তাঁদের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করায়, তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং আদালত বয়কট করার হুমকি দেন। এই প্রেক্ষিতেই দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের এই সিদ্ধান্ত। এই বিষয়টি সামনে আসার পরই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বুধবার তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা দাবি করেন, দলীয়ভাবে কোনও বিচারকের এজলাস বয়কট করা হয়নি, যা হয়েছে তা করেছে বার অ্যাসোসিয়শন।


তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্য কল্লোল ঘোষ বলেন, কোনও চাপ দেওয়া হয়নি, শুধু রতন মণ্ডলের জামিন চাওয়া হয়েছিল, বাকিদের নয়, উদেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূল আইনজীবী সেলকে বদনাম করা হচ্ছে।


এ দিন দুপুরে বৈঠকে বসে দুর্গাপুর বার কাউন্সিল। সেখানে, অচলাবস্থা কাটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়শনের  সভাপতি দেবব্রত সাঁই বলছেন, অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, সেটা কেটে গেছে, আজ থেকেই আমরা ওই আদালতে কাজে যোগদান করছি। অচলাবস্থা ছিল, কিছু আইনজীবী কাজে যাচ্ছিল না। অস্থিরতাও ছিল। যা কিছু সিদ্ধান্ত দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়েছিল। ৬ দিন পর কাটল ACJM-এর এজলাসের অচলাবস্থা


হাল আমলে এজলাস বয়কটের ঘটনা নতুন নয়। নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এমন ঘটনা দেখা গেছে একাধিকবার। এবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তার পুনরাবৃত্তি ঘিরেও উঠল সমালোচনার ঝড়। আর তার জেরেই ৬ দিন পর কাটল অচলাবস্থা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial