মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: রেলের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুনধুমার কাণ্ড বাধল দুর্গাপুরে। রেলের আধিকারিকদের ও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, বিকল্প ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করছে রেল। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনে বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলছে।
বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ, গো ব্যাক স্লোগান। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার রেলের উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে এভাবেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দুর্গাপুরের বিজয়নগর এলাকা। কী থেকে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত? স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজয়নগরে রেলের জমিতে কয়েক দশক ধরে ৫০ টি পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি রেলের তরফে তাদের উঠে যাওয়ার নোটিস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে পে লোডার, রেল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে উচ্ছেদ করতে আসে রেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই রেলের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পে লোডার সামনে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ।
স্থানীয়দের সঙ্গে সেই বিক্ষোভে যোগ দেন তৃণমূল কর্মীরাও। রেলের আসানসোল ডিভিশনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সরকারি নিয়মে বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে রামপুরহাটের পর এবার মহম্মদবাজার। বীরভূমে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিধায়ককে এলাকায় দেখে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে ধূমকেতু বলে কটাক্ষ করেন গ্রামসভার নেতা। তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
রবিবারের পর মঙ্গলবার। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ফের গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক ও বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রামপুরহাটের বালিয়াডাঙায় সরকারি পরিষেবা নিয়ে গ্রামবাসীদের একাধিক অভাব অভিযোগ শুনতে হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। মঙ্গলবার মহম্মদবাজার ব্লকের কাপাসডাঙায় গিয়ে আরও তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ককে আসতে দেখে তাঁর গাড়ি আটকান স্থানীয় গ্রামসভার নেতা ও কয়েকজন এলাকাবাসী। তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বাদানুবাদ।
বিধায়ককে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখে এগিয়ে আসে পুলিশ। এক ব্যক্তি বিক্ষুব্ধ গ্রামসভার নেতাকে ঠেলে বিধায়কের গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেন। কিন্তু তারপরেও ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন তিনি। শুধু গ্রামসভার নেতাই নন। গ্রামে পানীয় জল পরিষেবা ও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ গ্রামবাসীরাও।