নয়াদিল্লি
: ইঞ্জেকশন নয় (no needle for vaccine), ভবিষ্যতে হয়তো কোভিড টিকা পাওয়া যাবে 'ওরাল ফর্ম'-এ (Oral Covid 19 vaccine)। অর্থাৎ টিকা নেওয়া যাবে মুখ দিয়েই। আপাতত সেই টিকা নিয়ে গবেষণাতেই ব্যস্ত গবেষকদের একটি দল। প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার এর মধ্যে প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও (phas 1 clinical trial) হয়ে গিয়েছে। এখন অপেক্ষা পরের ধাপের। তার পরই হয়তো সেটিকে বাজারে আনা সম্ভব হবে,আশায় গবেষকরা। 


কী জানা গেল?
মিউকোসাল ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিসর এমনিতেই বাড়াচ্ছিলেন গবেষকরা। এই ধরনের টিকার মধ্যে নেজাল ভ্য়াকসিন ছাড়াও মুখ দিয়ে নেওয়া যায় এমন টিকার কথাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল। এই দ্বিতীয় গোত্রের টিকা নিয়েই কাজ করেছে US Specialty Formulations নামে একটি সংস্থা। টিকার নাম  QYNDR। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কাইল ফ্ল্যানাগান বললেন, 'QYNDR টিকার উচ্চার অনেকটা ইংরেজির KINDER শব্দটির মতো। কারণ এই টিকা দেওয়ার পদ্ধতি অনেক বেশি সহজ ও কম কষ্টদায়ক।' নিউ জিল্যান্ডে এর প্রথম দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ভালো ফলাফল পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখন পরবর্তী ধাপের ট্রায়ালের অপেক্ষা যার জন্য আরও বেশি অনুদান জরুরি। সেটি হলেই টিকাটি বাজারে আনা সম্ভব হবে বলে আশায় গবেষকরা। এতেই শেষ নয়। বিজ্ঞানীদের আশা, এই নতুন প্রতিষেধক নভেল করোনাভাইরাসের নিত্যনতুন প্রজাতির মোকাবিলায় অনেক বেশি সক্ষম হবে।


কী ভাবে কাজ?
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতার দাবি, 'পাকস্থলীর মধ্যে দিয়ে গিয়েও কী ভাবে কোনও টিকার কার্যকারিতা টিকিয়ে রাখতে হয়, সেটি খুঁজে বের করতে পেরেছি আমরা।' বিজ্ঞানীদের আরও বক্তব্য, এই ধরনের টিকা শুধু বড়সড় অসুস্থতা ও মৃত্যু আটকাতেই সাহায্য় করবে না, সংক্রমণ মোকাবিলাতেও সাহায্য করবে। কিন্তু এই প্রতিষেধকগুলি বাকিদের থেকে আলাদা কোথায়? সহজ ভাবে বলতে গেলে, মিউকাস মেমব্রেনের মধ্যে দিয়ে দেহে প্রবেশ করে এই টিকা। মূলত নাক অথবা পেটের মধ্য়ে দিয়ে শরীরের ভিতরে ঢোকে। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, এই ধরনের প্রতিষেধক অত্যন্ত কার্যকরী কারণ সাধারণ ভাইরাসের সংক্রমণ দেহের যে সব অংশ দিয়ে হয় সেখান থেকে এই টিকাগুলিও প্রবেশ করে।
করোনা-টিকার ক্ষেত্রেও এই ধরনের প্রতিষেধকের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত, সেটি বাজারে আসা সময়ের অপেক্ষা, আশায় গবেষকরা।


আরও পড়ুন:ঘন কুয়াশার জেরে হাওড়া স্টেশনে ব্যাহত রেল পরিষেবা, কোন কোন ট্রেন দেরিতে চলছে?