মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান): এবার দুর্গাপুরেও জ্বরের প্রকোপ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৪২ জন শিশু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভাইরাল ফিভার বলে মনে হলেও, ঝুঁকি না নিয়ে, শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কমিটি।


চিকিৎসকদের এই দলটি অসুস্থ শিশুদের ওপর নজর রাখছে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে অসুস্থ শিশুদের চিকিত্সা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 


অজানা জ্বরে ফের জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। এই নিয়ে জেলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির বাসিন্দা ৪ বছরের শিশুকন্যার গত ২ দিন ধরে জ্বর ও সর্দিকাশির সমস্যা ছিল। গতকাল ময়নাগুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই শিশুর। পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সক বা নার্স শিশুকে ছুঁয়েও দেখেননি। ব্যক্তিগত চিকিত্সকের পরামর্শে আজ ভোরে শিশুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশু বিভাগে করোনা পরীক্ষা চলাকালীনই তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শিশুর অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল, চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি। 


উত্তরবঙ্গে শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অজানা ভাইরাসের কথা! যে ভাইরাসকে দ্রুত চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে দক্ষিণবঙ্গেও শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে জ্বরের প্রকোপ। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জানা যাচ্ছে, শিশুদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা। খাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৬ জন ICU-তে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।


মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, অধিকাংশ শিশুই R S VIRUS-এ আক্রান্ত। আক্রান্ত শিশুদের লালার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের মতে, R S ভাইরাস প্রচণ্ড সংক্রামক। সেই কারণেই দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।