মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সাপে কাটলে সকলে ছুটে যায় হাসপাতালে। প্রাণ বাঁচাতে শেষ ভরসাস্থল। সেই হাসপাতালেই কিনা ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ। তাও যে সে জায়গায় নয়, একেবারে হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের মধ্যে।
ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে যে রোগীদের থাকতে হয় তাঁদের মধ্যে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকে, কেউ লড়াই করেন জীবন মৃত্যুর সঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতে সেই রুমে সাপের প্রবেশ নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম পরিস্থিতি দুর্গাপুরের এই হাসপাতালে।
একেবারে খোদ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সিসিইউ-র ভেতর ঢুকলো সাপ। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিতর্কের মুখে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টা ৩০ নাগাদ একটি সাপ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ভেতর ঢুকে যায়। সেই বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল অনেক রোগীও। এই সাপকে ঘিরে চিকিৎসক নার্স ও রোগীদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়।
যদিও বিষধর না কি নির্বিষ সে নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সর্পপ্রেমী দেবাশীষ মজুমদার ও নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। সাপটিকে কোনরকমে ওই বিভাগের চিকিৎসকদের রুমের সামনে থেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্যালে রাতে দ্রোহের গ্যালারিতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, ভাঙল অভয়া মূর্তি!
কয়েক মাস আগে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপকে অবাধে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। যাকে ঘিরে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেই সাপটিকে বাইকের চাকায় এবং স্ট্যান্ডেও উঠতে দেখা গেছিল। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পিছন দিক এবং জরুরী বিভাগের আশপাশে আগাছায় ভর্তি। সেখান থেকেই এই বিষধর সাপেদের আনাগোনা বাড়ে হাসপাতাল চত্বরে।
হাসপাতালে আসা শ'য়ে শ'য়ে রোগীর পরিবার এখন প্রশ্ন তুলছেন এইভাবে সাপেদের অবাধ বিচরণ হলে তাদের আর রোগীদের নিরাপত্তা দেবে কে! প্রথমে সিসিইউ এর সাপ ঢোকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার ধীমান মন্ডল বলেন বাড়তি নজরদারি চালানো হবে গোটা হাসপাতাল জুড়ে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে