মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমান জেলা-সহ দুর্গাপুরের (Durgapur) বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়কের বেহাল দশা। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। যার কারণে নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। শুক্রবার সকালে জাতীয় সড়ক এবং সমস্ত সার্ভিস রোড সংস্কারের দাবি নিয়ে পথে নামে বাম কর্মীরা (CPM)। এদিন দুর্গাপুরের বিধাননগর (Durgapur Bidhannagar) সংলগ্ন জাতীয় সড়কের (National Highway) দফতরের সামনে ক্ষোভ দেখান বাম কর্মী সমর্থকরা।
এদিন বিক্ষোভে শতাধিক বাম কর্মী সমর্থক সহ জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে সিপিআইএম-এর জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক এবং তার সার্ভিস রোড আন্ডার পাশগুলি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। একদিকে যেমন নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা তার সঙ্গে দুর্গাপুর শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, এর ফলে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যানবাহনের আয়ু কমে যাচ্ছে। তাই দুর্গাপুর বাঁচানোর পাশাপাশি দুর্গাপুরের মানুষদেরও বাঁচাতে হবে। সেই কারণেই আজ তারা জাতীয় সড়কের দফতরের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান বলে জানিয়েছেন। বিক্ষোভ শেষে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।
অন্যদিকে এদিন বিপজ্জনক ভাবে রেল লাইন পার করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে রিষড়ায়। মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় দুই পড়ুয়ার (Students Hit by Train)। ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের (Rishra Railway station) পাশে ছিটকে পড়ে তারা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
রিষড়া রেলগেটে দিয়ে লাইন পারাপার নিত্যদিনের ব্যাপার। কিন্তু সেখান থেকে এগিয়ে কোন্নগরের দিকেও লাইন পারাপার করার জায়গা রয়েছে। বহু মানুষ সেখান দিয়ে যাতায়াতও করেন। শুক্রবার তা করতে গিয়েই মৃত্য়ু হল দুই পড়ুয়ার। দু’জনেই চুঁচুড়া টেকনো ইন্ডিয়া পাবলিক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের রেহান রাঠি এবং কৌস্তভ দাস বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। রেহানের বাডি় বাঙুর পার্কে। রিষড়া স্টেশন সংলগ্ন আবাসনে বাস কৌস্তভের।স্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল দু’জনেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যার দিকে রেল লাইন পেরোতে যায় দু’জনে। সেই সময়ই দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা ট্রেন তাদের ধাক্কা মারে। তাতে লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে দুই পড়ুয়াই। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে (Serampore Walsh Hospital) নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। কিন্তু সেখানে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।