মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়,পশ্চিম বর্ধমানঃ দুর্গাপুরের (Durgapur) ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্ল্যান্টে শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ(Police)। ক্ষতিপূরণের দাবিতে পুলিশকে মৃতদেহ (Deadbody) তুলতে বাঁধা দেন শ্রমিকরা। তবে কী এই ঘটনা ঘটল তা এখনও জানা যায়নি। যদিও মৃতের দাদার অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে বারংবার কারখানায় মানসিক ও শারীরিকভাবে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে জানাতো। এদিকে এই ঘটনা ঘটতেই মুখে কুলু এঁটেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন, জগদ্দলে জুটমিলের শ্রমিককে শ্যুটআউট, খুনের পরপর বোমাবাজি


 দুর্গাপুরের ইন্ডিয়ান ওয়েল বটলিং প্ল্যান্টে এক শ্রমিকের  ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় শুক্রবার  রাতে। জেনারেল শিফটে কাজে এসেছিলেন শ্যামপুরের বাসিন্দা কাঞ্চন রায় (৫৮) নামে হ্যান্ডেলিং ডিপার্টমেন্টের সুপারভাইজার পদে নিযুক্ত শ্রমিক। ৯-৫ ডিউটি সময়। ৫ নাগাত কারখানা থেকে ছুটি হওয়ার কথা কিন্তু তার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবার খোঁজ শুরু করে। পরিবার তরফে কারখানা খবর দিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে কর্তৃপক্ষের লোকজনেরা। দীর্ঘ খোঁজের পর বাথরুম থেকে কাঞ্চন রায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় শ্রমিকেরা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কোকওভেন থানার। এর পরই পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। তবে পুলিশ কারখানা থেকে দেহ নিয়ে যেতে গেলে বাধা দেয় শ্রমিকেরা।শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আশ্বাসন দিতে হবে। বারংবার এই রকম ঘটনা ঘটছে তাও কর্তৃপক্ষের কোনও গুরুত্ব দেয় না। কতৃপক্ষের চরম গাফিলতি জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।  


 মৃতের দাদার অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে বারংবার কারখানায় মানসিক ও শারীরিকভাবে কাজের জন্য চাপ দেওয়া হত বলে জানাতো।যদিও এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ তথা ইন্ডিয়ানার বটলিং প্ল্যান্টে হ্যান্ডেলিং অফিসার হিমাংসু সিং মুখে কুলু এঁটেছেন। প্রশ্ন করলেও কোনও উত্তর দেননি। ঘটনার কথা স্বীকার করে ঠিকাদার সংস্থা আধিকারিক সান ইসলাম জানান, পুরোনো শ্রমিক, যথেষ্ট পরিশ্রমী ছিলেন। কারখানার শ্রমিকদের দাবি, মৃতের পরিবার আছে, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাশাপাশি কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তার তদন্ত চাই। চরম গাফিলতি রয়েছে  কর্তৃপক্ষের। অবশেষে কারখানা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর পুলিশ রাত্রি একটা নাগাদ মৃতদেহ তুলতে দেয় শ্রমিকেরা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।