উত্তর ২৪ পরগণাঃ জগদ্দলে জুটমিলের শ্রমিককে শ্যুটআউট (Jagaddal Murder Case)। খুনের পর বোমাবাজির অভিযোগ। পরপর বোমা ছোড়ার অভিযোগ। জগদ্দলের সার্কাস ময়দানে গুলিবিদ্ধ হন বছর চব্বিশের এক যুবক। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চায়ের দোকানে চা খেতে এসেছিলেন ওই শ্রমিক। তখনই তার উপর আক্রমণ চালানো হয়। ঘিরে ধরে মারধর করার পরই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তবে কী কারণে এই হামলা, এর পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে, তা খতিয়ে জানার চেষ্টায় রাজ্য পুলিশ (WB Police)।


আরও পড়ুন, সিআইডিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা : শুভেন্দু অধিকারী


 এদিন সকালেও জগদ্দল বাজার এলাকায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই জগদ্দলে শ্যুটআউট এবং বোমাবাজির পরপরই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌছয়।ব্যারাকপুর কমিশনারেটের শীর্ষকর্তারা এলাকায় রয়েছেন। আর তারই মাঝে এদিন জগদ্দলের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হচ্ছে, তা বলা অপেক্ষা রাখে না বলেই মত এলাকাবাসীর। ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত এলাকাবাসী। অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে জগদ্দলে একটি খুনের ঘটনার অভিযুক্তই এই খুনের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও এই ঘটনায় কারা জড়িয়ে, প্রশ্নের উত্তরে কিছুটা এড়িয়ে সবাই জানে, এটা দুষ্কৃতিদের মধ্যে লড়াই বলেই উল্লেখ করলেন অর্জুন সিংহ। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, এটা একটু অদ্ভুত শোনাচ্ছে। বিজেপিতে থাকাকালীন অর্জুনের এক ঘনিষ্ঠের উপরে আক্রমণ করা হয়েছিল। এক বিজেপি কর্মীর উপরে আগেও আক্রমণ করা হয়। শাসকদলের প্রশয়ছাড়া এটা সম্ভব নয় বলেই জানালেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র।


প্রসঙ্গত, নিছক সাদামাঠাভাবে চুপিচুপি হেটে এসে তৃণমূল নেতাকে দুষ্কৃতির খুন করার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিউরে উঠেছিল সারা বাংলা। রাজ্যের পানিহাটি এলাকায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। খুনের পর পালিয়ে দুষ্কৃতি ঝোপের মাঝে লুকিয়ে গেলে, ঝোপে আগুন ধরিয়ে দেয় এলাকাবাসী। এখন কথা হচ্ছে, রাজ্যে একাধিক খুনের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতি ধরা হচ্ছে। তবে দুষ্কৃতিকে খুনের পর ধরা হচ্ছে। খুনের আগে প্ল্যান চৌপাট, এমন ঘটনা খুবই কম শোনা যায়। তাই একের পর এক খুনের ঘটনায় এবার ফের প্রশ্ন উঠল রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে।বহুদিন থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একের পর এক খুন, বোমাবাজির ঘটনায় তিনি টুইটে তোপ দেগে শাসকদলকে নিশানা করেছিলেন। যদিও সেই মুহূর্তে চাপ সৃষ্টি হলেও পরে তা আগেই পরিস্থিতিতেই ফিরে গিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।