দুর্গাপুর: ভয়াবহ দুর্ঘটনা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (Durgapur Steel Plant),  গ্যাস লিক করে ২ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অক্সিজেন ফার্নেসে কনভার্টার মেরামতির সময়ে গ্যাস লিক করে বলে খবর। গ্যাস লিক করে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ৪ জন কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। 


২০২১-এর শেষের দিকে হলদিয়া পেট্রোকেমে আইওসির (Haldia Petrochem IOC) রিফাইনারিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে ৩ জনের মৃত্যুর খবর মেলে শুরুতেই। জানা যায়, গুরুতরভাবে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৪৪ জন। ইতিমধ্যেই তাঁদের কয়েকজনকে গ্রিন করিডোর করে কলকাতায় এনে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, মক ড্রিলের পরে ফের কাজ শুরু হতেই ওয়েল্ডিং থেকে দুর্ঘটনা। অগ্নিকাণ্ড নিয়ে শুরুতে হলদিয়া পেট্রোকেমের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর মেলে, ৫ জনকে ভর্তি হয় হাসপাতালে। প্রত্য়েকেরই 'সিভিয়র বার্ন' রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। আরও ১১ জনকে ভর্তির জন্য আনা হয় কলকাতায়।


উল্লেখ্য, চলতি বছর গুজরাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। রাসায়নিক ভর্তি ট্যাঙ্কার লিক করে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পাঁচ জনের। পাশাপাশি এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুজরাতের সুরাতে সচিন জিআইডিসি এলাকায় ৬ জানুয়ারি ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। অসুস্থ লোকজনদের সঙ্গে সঙ্গে সুরাত সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


জিআইডিসি এলাকা শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিত। ট্যাঙ্কার থেকে রাসায়নিক লিক হওয়ার পর তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন অনেকে। ট্যাঙ্কার থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক বেরোয় বলে খবর। অসুস্থরা সবাই শ্রমিক। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, যে ট্যাঙ্কার লিক হয়েছে, তাতে রাসায়নিক ভরা ছিল।


জিআইডিসি এলাকার একটি কারখানায় রাসায়নিক ভর্তি ওই ট্যাঙ্কার লিক হয়। রাসায়নিক বের করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্যাঙ্কার থেকে রাসায়নিক লিক হয়ে বেরোতে থাকে। এরফলেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।


পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ জানুয়ারি রাত আড়াইটে নাগাদ ওই ট্যাঙ্কার থেকে লুকিয়ে নালায় ফেলা হচ্ছিল রাসায়নিক। সেই বিষাক্ত গ্যাস আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাশেই একটি কারখানায় কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁদের কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়।