মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বন্ধ ব্রিজ নির্মাণের কাজ। ঝুঁকির পারাপার। বিপাকে কাঁকসার মলানদীঘি বনকাটির ব্যবসায়ীরা থেকে নিত্যদিনের যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ। ২০২১ সালের শুরুতে কাঁকসার মলানদীঘি রঘুনাথপুর যাওয়ার রাস্তার মাঝে পুরনো ব্রিজ ভেঙে ডিভিসির সেচ ক্যানেলের ওপর পূর্ত সড়ক দফতর কর্তৃপক্ষের নতুন কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। 


গত ৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী ব্রিজ। মানুষজন পারাপারের জন্য বাঁশের ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে করতে হচ্ছে পারাপার। আতঙ্কে জীবন ও জীবিকার তাগিদে পারাপার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বীরভূম থেকে বহু মানুষ এই রাস্তা দিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূত্রে এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যায়। তাদেরও চরম বিপাকের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিকল্প যোগাযোগের রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রশাসন এবং সেচ দফতর। কিন্তু সেই কথা কথাই থেকে গেছে। ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ উগরে দেয় এলাকার মানুষজন। এবিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখার্জী জানান আমরা পূর্ত সড়ক দফতর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সেচ ক্যানেলে জল থাকার কারণে এবং বালির সম্যসার জন্য কাজ আটকে আছে। খুব তাড়াতাড়ি সম্যসা সমাধান হয়ে যাবেও বলেও। আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ত দফতরের আধিকারিক, কাঁকসা র বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন সমস্যা একটা হচ্ছে এটা ঠিক, সেচ এর জলের জন্য অস্থায়ী রাস্তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল, এরপর কাজ দ্রুত শেষ হবে।এদিকে বালাসন সেতু বসে যাওয়ার জন্য শুরু হয়ে গেল তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। তৃণমূলের মদতে বালির চোরাচালানের জন্য ব্রিজের এই পরিস্থিতি। সেতু পরিদর্শনে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। বিজেপি রাজনীতি করছে পাল্টা বলে জবাব দিয়েছে তৃণমূল।


পাহাড়ে অতিবৃষ্টির পরই, বুধবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় দার্জিলিঙের মাটিগাড়ার বালাসন সেতু। বসে যায় সেতুর তিন নম্বর পিলার। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর এই গুরুত্বপূর্ণ সেতু বন্ধ থাকবে আরও ২৫ দিন। শনিবার ব্রিজ পরিদর্শনে গিয়ে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের মদতেই বালি পাচার ও মাফিয়া দৌরাত্ম্য।