শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা: কোচবিহারের দিনহাটায় উদ্ধার হল একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট।


বিছানায় পড়ে রয়েছে পাঁচ বছরের ছেলে রক্তাক্ত মৃতদেহ। মেঝেতে পড়ে স্ত্রীর মৃতদেহ, পাশে রক্তমাখা ছুরি। ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর মৃতদেহ।


রবিবার সকালে এমনই ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের টিয়াদহের গোর্খার পাড়ের বাসিন্দারা। উদ্ধার হল একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ। মৃতদের নাম মনোরঞ্জন সরকার (৫২), সান্ত্বনা বর্মন সরকার (২২) ও রনি সরকার (৫)।


আরও পড়ুন: কোন্নগরে উদ্ধার গবেষক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, 'প্রেমিক আত্মহত্যা করায় আত্মঘাতী', দাবি পরিবারের


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে দীর্ঘক্ষণ বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। সাড়াশব্দ না-পেয়ে ধাক্কা দিয়ে একটি জানালা খোলেন তাঁরা। তখনই ভেতরে দেখা যায় ভয়ানক দৃশ্য।


মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় শ্রমিক মনোরঞ্জনের সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তি চলছিল। মোবাইল ফোনে সব সময় কথা বলা নিয়ে মাঝমধ্যেই চরমে উঠত অশান্তি। 


মনোরঞ্জনের ভাই বলেন, বউদি সবসময় ফোনে কথা বলত। এই নিয়ে অশান্তি ছিল। আজ সকালে দেখি দরজা খুলছে না। তারপর জানা যায় এই ঘটনা। তিন দিন আগের বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। কাল বিকেলে চলে এসেছিল। তারপর এই ঘটনা।


আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জের, মায়ের হাতের শিরা কেটে খুনের পর আত্মঘাতী ছেলে


পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্তে পর পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন মনোরঞ্জন সরকার।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। 


আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনে আসক্তি, পান্ডুয়ায় পরিবারে বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী