কলকাতা: অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির জয়। দিল্লি (Delhi) থেকে দেহরাদুন (Dehradun), দুর্গাপুর (Durgapur) থেকে খড়গপুর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রীতি মেনে রাবণ (Ravan) দহন পর্ব চলছে।                 

  


প্রসঙ্গ দশেরা                    


হিন্দু বাঙালিরা যখন দুর্গাপুজো পালন করেন, তখন ভারতের কোথাও কোথাও পালিত হয় দশেরা বা নবরাত্রি। দশেরার ইতিহাস নিয়ে নানা মতামত শোনা যায়। আসলে, দশেরা হল দেবীপক্ষের দশম দিন বা নবরাত্রির দশম দিন। হিন্দুমতে বিশ্বাস করা হয়, এইদিন লঙ্কার রাজা দশানন রাবণকে হারিয়ে শ্রীরামচন্দ্র রাবণকে বধ করেছিলেন। দশ মানে দশানন রাবণ, আর হরা মানে হার। দশেরার দিন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় রাবণ দহনের মাধ্যমে এই দিন পালন করা হয়। সংস্কৃতির এই গুরুত্বপূর্ণ দশেরা উৎসবটি আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে উদযাপিত হয়।


আরও পড়ুন, "আসছে বছর আবার এসো মা", সিঁদুরখেলায় মাতলেন কোয়েল-ঋতুপর্ণা-পাওলি



আরও শোনা যায়, ৯ রাত্রি ১০ দিন ধরে অবিরাম লড়াইয়ের পর দেবী দুর্গা দশম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সুতরাং এই দিন দেবীর জয়ের দিন। 'বিজয়া দশমী' মা দুর্গার হাতে মহিষাসুরের পরাভবকেও ব্যক্ত করে। মহিষাসুরই হোন আর রাবণই হোন, এই দিনটি আসলে অশুভ শক্তির পরাজয়কেই মনে করায় অর্থাৎ অশুভকে বিনাশ করে শুভ শক্তির সূচনা ৷ নবরাত্রির দেবীশক্তির আরাধানাও শেষ হয় এই দিনে।                


এই শুভ উপলক্ষ্যে আমাদের দেশের সেনাবাহিনীও অস্ত্র পুজো করে থাকে, কেবলমাত্র এ থেকেই দশেরার দিনে অস্ত্র পুজোর গুরুত্ব অনুমান করা যায়। এই দিনে, মা ভগবতী, জয়া এবং বিজয়ার উভয় যোগিনীর পুজো করার নিয়ম রয়েছে, তারপরে অস্ত্রের পুজো করা হয়। এই শুভ উপলক্ষ্যে, মা দুর্গার কাছ থেকে প্রতিটি যুদ্ধে বিজয় এবং সীমান্ত রক্ষার প্রতিশ্রুতি নেওয়া হয়।