উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আগামী ৭ জানুয়ারি, ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এর ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ। কর্মসূচি সফল করতে কোমর বেঁধে লেগেছে সিপিএমের যুব সংগঠন। শনিবার থেকে মঞ্চ বাঁধা এবং যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ শুরু হবে। বুধবার সভার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় এবং DYFI নেতারা।

  


ব্রিগেড (Brigade) সমাবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবার ভিক্টোরিয়ার সামনে তৈরি হয় মঞ্চ। কিন্তু, এবার মঞ্চ তৈরি হবে উল্টো দিকে। শেষবার হয়েছিল ২০০৮ সালে। তারপরে এবার। প্রায় ১৫ বছর পর এবার ফের ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI। একদিকে শিক্ষা ও কাজের দাবি, অন্যদিকে, দুর্নীতির প্রতিবাদে বাংলা জুড়ে, ৫০ দিন ধরে ইনসাফ যাত্রা করেছে DYFI। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ দিয়ে তা শেষ হবে।                     


দু-দিনের জন্য ব্রিগেডের অনুমতি পাওয়া গেছে। শনিবার থেকে শুরু হবে মঞ্চ তৈরির কাজ। আর, ওই দিন থেকেই কর্মীরাও আসতে শুরু করবেন। উপস্থিত থাকবেন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমরা। তবে, বক্তা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের জন্যই উৎসাহে ফুটছেন বাম যুবকর্মীরা।                  


বুধবার, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ঘুরে দেখেন DYFI নেতৃত্ব। DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'গোটা রাজ্যের সাধারণ মানুষ যেভাবে ইনসাফ সভা, ইনসাফ যাত্রাতে নিজেদের রুটি রুজির দাবিতে প্রতিটা দিন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তেমনই ব্রিগেডের সমাবেশেও গোটা দেশ ও রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য সেই লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংগ্রামী জনতা থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কোনওদিন লড়াই ছাড়া থাকেনি।'  


তৃণমূলের কটাক্ষ:
শূন্য কলসি বেশি বাজে বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ শান্তনু সেন। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের তোপ, সিপিএমের পুরনো নেতাদের ইনসাফ চাওয়ার মুখ নেই। তাই মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের মুখ সামনে এনে কর্মসূচি করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ তাঁর।  


গত লোকসভা ভোট ও বিধানসভা ভোটে এরাজ্য়ে শূন্য় হয়ে গেছে সিপিএম (CPIM)। DYFI-এর ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেডে ভর করে কি হারানো জমি ফিরে পাবে বামেরা? লোকসভা ভোটে কি দাগ কাটতে পারবে সিপিএম?


আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে ২০১৬ প্রাথমিক প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ! নয়তো?