কলকাতা: 'শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে যে অর্থ লাগে, তা অন্যত্র চলে যাচ্ছে', ধর্মতলায় বামেদের (CPM) সমাবেশ থেকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। (Minakshi Mukherjee) 'কাজের অধিকার' নিয়েও তাঁর বক্তব্য, 'চা বাগানের বেকার মানুষ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকের মজুরি কমছে, কাজের সুযোগ কমছে। শুধু বেতন বাড়ছে জেলে বসে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, (Patha Chatterjee) মানিক ভট্টাচার্যের মতো বিধায়কদের।' বস্তুত, এদিন মীনাক্ষীর নিশানায় ছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদলই।


আক্রমণের মুখে নির্মলা সীতারামন ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য...
শুক্রবারের সভায় বাম যুবনেত্রী বলেন, 'নির্মলা সীতারামন থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অত বুকের পাটা নেই যে কাজের ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ করতে পারবেন।' এমনকি ছেড়ে কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রীকেও। মোদি সরকার ও আম্বানি-আদানি 'যোগসূত্রের' কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে যে সংঘাত চলছে, সে প্রসঙ্গও তুলেছেন মীনাক্ষী। কিন্তু সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর প্রশ্ন, 'এই লড়াই কি আসল লড়াই? কারখানা খোলার লড়াই? কৃষকদের ফসলের আড়াই গুণ লাভজনক দাম বাড়িয়ে দেওয়ার লড়াই? নতুন কারখানা খোলার লড়াই? পুরনো কারখানা যা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এটা কি তার লড়াই? হোটেলের কর্মীদের ন্যূনতম মজুরির লড়াই?' তাঁর দাবি, শিল্পের কথা ভেবে বামফ্রন্ট যে ১৪টি জমি-জায়গা অধিগ্রহণ করেছিল তা ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। যদিও বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে আদানিদের হাতে জমি তুলে দেওয়ার জন্য কয়লা খুঁজতে গিয়ে পাথরের পর পাথর কাটা হচ্ছে। মীনাক্ষীর কথায় 'সেখানকার সংস্কৃতি নষ্ট করা হচ্ছে।'  
 


আর যা...
আগামী দিনের কথাও শোনা গেল এই যুবনেত্রীর মুখে। তাঁর কথায়, 'ভয় পান, সামনের দিনে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম পরিবেশটুকু থাকবে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে কারখানার গেট পর্যন্ত, গরিব, খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের কথা বাদ দিয়ে দিন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মানুষের জন্য খোলা থাকবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।' আগামী দিনে মঞ্চ খাটিয়ে, মাইক লাগিয়ে এভাবে তাঁদের কথা জনগণের কাছে আদৌ পৌঁছে দেওয়ার পরিবেশ থাকবে কিনা, সেই নিয়েও সন্দিহান তিনি। এতেই শেষ নয়। যুবনেত্রীর প্রশ্ন, 'আগামীদিনে গোটা দেশের মেহনতি মানুষ এ দেশটা আমার দেশ, এমন কথা বুক ঠুকে বলতে পারবেন কিনা, তাতেও প্রশ্ন থাকছে।'


 


আরও পড়ুন:ব্রাত্যর ক্রীতদাস শব্দের প্রয়োগে তপ্ত রাজনীতি, পাল্টা আক্রমণ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর