কলকাতা: বাক্সবন্দি হয়ে ফিরেছে দেহটা। কর্নেল মনপ্রীত সিংহের (Colonel Manpreet Singh) দেহ। ৬ বছরের ছেলে কি এর অর্থ বোঝে? জানার উপায় নেই। তবে থিকথিকে ভিড়ের মধ্যে ঠিক বাবার দেহের কাছে গিয়ে টানটান 'স্যালুট' জানাল খুদে। পরনে জলপাই উর্দি। পাশে দাঁড়িয়ে ছোট বোন। দাদাকে নকলের চেষ্টা করছে। মুখে হালকা হাসি। আশপাশের ভিড় থেকে বিলাপের আওয়াজ, বুকফাটা কান্নার শব্দ। ছেলে-মেয়ে দুটো কি বুঝল, কী হারিয়েছে তারা?


গুলিযুদ্ধ যা ছিনিয়ে নিল...
জন্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে (Anantnag Encounter) সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির তুমুল লড়াইয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের যে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদেরই একজন কর্নেল মনপ্রীত সিংহ। শুক্রবার, পঞ্জাবের মোহালি জেলার মুল্লানপুরের গ্রামের বাড়িতে কর্নেল সিংহের দেহ এসে পৌঁছয়। ভিড়ে ভেঙে পড়ে এলাকা। সকলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে এসেছিলেন তাঁকে। তার মাঝে কর্নেল সিংহের দুই ছেলে-মেয়ে যেন বুঝেও বুঝছিল না, ঠিক কী ঘটেছে তাদের সঙ্গে। পাড়াপড়শিরাই এদিন আগলে রেখেছিলেন তাদের। তবে খুদে চোখ কি দেখেনি যে বাক্সবন্দি দেহের সামনে নাগাড়ে কেঁদেই চলেছেন ঠাকুমা, মা, পিসিরা? তা থেকে কিছু কি টের পায়নি তারা? 






৪১ বছরের কর্নেল মনপ্রীত সিংহ ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। সেনা ও পুলিশের যৌথ সন্ত্রাসদমন অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাতে জীবনমৃত্যুর লড়াইয়ে হার মানেন। তিনি ছাড়াও মেজর আশিস ধোনাকের মৃত্যু হয় ওই অভিযানে। মারা যান পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটও। এতেই শেষ নয়। শুক্রবার ভোরে  প্রাণ হারান এক সেনা জওয়ান। জম্মু-কাশ্মীরে অনন্তনাগ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যে গুলির লড়াই চলেছে, তাতেই প্রাণ হারান তিনি।বুধবার থেকে এই নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যের মৃত্য়ু হল। এখনও ওই এলাকা কর্ডন করা রয়েছে। সার্চ অপারেশন চলছে।  


আরও পড়ুন:নির্দিষ্ট সাংবাদিক ও সঞ্চালকদের বয়কটের সিদ্ধান্ত I.N.D.I.A.-এর, প্রত্য়াহারে কড়া চিঠি NBDA-এর