কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে এ যাবৎকালীন সবচেয়ে বড় নাম তিনিই। বিগত কয়েক মাস ধরে জেলে থাকলেও, প্রায় নিত্যদিনই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। আবারও খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee_। জেলবন্দি পার্থর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে বাম যুব সংগঠনের (DYFI) পক্ষে 'গণভোট' করানো হল সেখানে। আর তাতে পার্থকে অপসারণের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ল।
DYFI-এর তরফে রবিবার 'গণভোটে'র আয়োজন হয় বেহালায়
বামেদের যুব সংগঠন DYFI-এর তরফে রবিবার 'গণভোটে'র আয়োজন হয় বেহালায় (Behala Paschim)। বেহালার বড়িশার এলআইসি মোড়ে 'গণভোটে'র আয়োজন হয়। জনমত জানতে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ কর্মসূচি গৃহীত হয় DYFI-এর তরফে। দুপুরে সেই 'গণভোট' মিটলে দেখা গেল, পার্থকে অপসারণের পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে।
DYFI-এর তরফে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, এ দিনের 'গণভোটে' অংশ নেন শতাধিক মানুষ। মোট ভোট পড়ে ৪৬১টি। এর মধ্যে পার্থকে বিধায়ক পদ থেকে সরানোর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩১টি। পার্থর সমর্থনে ভোট পড়েছে মাত্র ২৫টি। ভোট বাতিল করা হয়েছে ৬টি। অর্থাৎ ভোটদানকারীদের অধিকাংশই পার্থকে বিধায়ক পদ থেকে সরানোর পক্ষে। তাই পার্থর বিপক্ষেই গেল ‘গণভোটের’ রায়।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘২৬-এ ২৪০ আসন নিয়ে ফিরবে তৃণমূল, লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অভিষেক
বেহালা পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিগত সাড়ে আট মাসের বেশি সময় ধরে জেলবন্দি। তাঁকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে আগেই পথে নেমেছে বামেরা। তাদের যুব সংগঠনের তরফেই এ দিন 'গণভোটে'র আয়োজন হয়। যদিও এ নিয়েও বিজেপি-র কটাক্ষের মুখে পড়েছে বামেরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই বামেরাই বিধানসভা নির্বাচনে বেহালায় তৃণমূলকে জিততে সাহায্য় করেছিল। 'নো ভোট টু বিজেপি' স্লোগান তুলে জোড়াফুলকে বসিয়েছিল ক্ষমতায়। এই 'গণভোটে'র প্রয়োজন নেই, বিজেপি এমনিতেই তৃণমূলকে উৎখাত করে ছাড়বে বলে দাবি শুভেন্দুর।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পার্থর থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে তৃণমূল। সারাজীবন তিনি ষড়যন্ত্র করে গিয়েছেন বলে একদিকে সরব হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। আবার পার্থকে ঠিক চিনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। যদিও দল এবং সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি লাগাতার আনুগত্যই প্রকাশ করে গিয়েছেন পার্থ।