কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মেমারি রেল স্টেশন সংলগ্ন সুলভ শৌচাগারের ভিতরে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ ! এলাকা কার? দড়ি টানাটানি জিআরপি বর্ধমান ও মেমারী থানার পুলিশের। দীর্ঘক্ষণ চলে দুপক্ষের বিবাদ। তিন ঘন্টা ধরে চলে দড়ি টানাটানি। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলে পাঠায় মেমারি থানার পুলিশ।
'কার এলাকায় পড়ছে ?' তর্কে ৩ ঘণ্টা পার GRP ও পুলিশের
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত ব্যক্তির নাম রাজেশ থাপা। বাড়ি দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে। তিনি গত এক মাস ধরে মেমারির স্টেশনের টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন সুলভ শৌচাগারে কর্মরত ছিলেন। সোমবার রাত্রি ১১ নাগাদ ভিতর থেকে তালাবন্ধ শৌচাগারের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজেশ থাপাকে পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেমারি থানা ও জিআরপি বর্ধমান থানার পুলিশ। এরপরই এলাকা কার ? তা নিয়ে চলে দীর্ঘক্ষণ টালবাহানা।পরে মেমারি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। কীভাবে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে মেমারি থানার পুলিশ।
কীভাবে রক্তাক্ত হলেন তিনি, কোনও নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে অনেক বড় কোনও রহস্য ?
এখানে বেশ অনেকগুলিই প্রশ্ন উঠে আসছে। প্রথমত রাজেশ থাপা এই শৌচাগারে গত এক মাস ধরে কাজ করেছেন। আচমকা এমন কী হল যাতে, তাকে প্রাণ হারাতে হল। কীভাবে রক্তাক্ত হলেন তিনি, কোনও নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে অনেক বড় কোনও রহস্য। যদি তা থেকেও থাকে, কারা যুগিয়েছে এই ঘটনায় ইন্ধন। যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই শৌচাগারেই কি রয়ে গিয়েছে কোনও প্রমাণ ? থাকলেও তা কি এখনও অক্ষত রয়েছে, নাকি তা প্রকাশ্যে আসার আগেই প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে ? এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর হয়তো মিলবে ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরেই।
নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে
তবে রাজ্যে যেভাবে একের পর এক রহস্যমৃত্যুর ঘটনা আসছে, তাতে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই শ্যুটআউট, ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা কিংবা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। কোনও ক্ষেত্রে প্রাণে বাঁচছে, কোনও ক্ষেত্রে প্রাণ হারাতে হচ্ছে নির্যাতিতদের। তবে এই ঘটনায় শেষ অবধি কোন দিকে যাবে, তা বলে দেবে সময়ই।