সৌমিত্র পাল, সুদীপ্ত আচার্য , পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্য়াল-কাণ্ডে বিচার চেয়ে বাইপাসে  মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান সমর্থকদের জমায়েত। ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালাল পুলিশ। আর জি কর মেডিক্য়ালে হামলার রাতে পুলিশের এই তৎপরতা কোথায় ছিল? গতকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মতো, ১৪ অগাস্ট রাতে কেন সুরক্ষিত রাখা হয়নি আর জি কর হাসপাতালকে? যেখানে পুলিশ নেই বলে ম্য়াচ বাতিল করা হল, সেখানে সমর্থকদের প্রতিবাদ ঠেকাতে এত পুলিশ এল কোথা থেকে? উঠছে এমনই একাধিক প্রশ্ন। ডার্বি ম্যাচ বাতিল কেন করা হল, মানুষের প্রতিবাদ বন্ধ করতে ? প্রশ্ন করছেন মোহনবাগান - ইস্ট বেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরা। এবার তার যুক্তি নিয়েও হাজির পুলিশ।


রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ম্যাচ বাতিলের কারণ হিসেবে বিধাননগর পুলিশ দাবি করে, গোয়েন্দা সূত্রে খবর রয়েছে- সাধারণ দর্শকের মধ্যে ঢুকে অশান্তি পাকাতে পারে কিছু লোক। বিধাননগরের ডিসি অনীশ সরকার একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে দাবি করেন, 
কিছু লোক দর্শকের মধ্যে ডুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে এমন খবর ছিল।  সাধারণ দর্শকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। 


সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেও পুলিশ এমনটাই দাবি করেছে। লেখা হয়েছে, ' দুই প্রধানের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে আজ যারা অস্ত্র-বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষেছিল। আজ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-জমায়েতে অস্ত্র-বোমা নিয়ে অশান্তির ছক কষেছিল কিছু দুষ্কৃতি। উদ্দেশ্য, সমর্থকদের বদনাম করা। গোপন সূত্রে এ বিষয়ে কিছু অডিও-রেকর্ডিং আমাদের হাতে আসে। যার ভিত্তিতে আমরা দু'জনকে গ্রেফতার করেছি। মানিকতলার বাগমারির রাকেশ পাল এবং ব্যারাকপুরের শেখ সলমন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করার এই হীন প্রয়াসের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।'  


এই পরিস্থিতিতে ফুটবলপ্রেমীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছে,আর জি কর হাসপাতালে হামলার দিন কেন পুলিশের কাছে এরকম আগাম খবর ছিল না? প্রশ্ন উঠছে, সমর্থকদের প্রতিবাদ ঠেকাতে এত পুলিশ এল কোথা থেকে? যে খেলাটা হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের, সেটা হল ময়দানের তিন প্রধানের সঙ্গে পুলিশের।  


আরও পড়ুন, 'শুধু জিজ্ঞাসাবাদ কেন? কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না সন্দীপ ঘোষকে?' প্রশ্ন তুলল নির্যাতিতার পরিবার