পূর্ব বর্ধমান, কমলকৃষ্ণ দে: ফায়ার অফিসার পরিচয় দিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিল একটি দল। এখানেই শেষ নয়, ফায়ার অফিসার পরিচয় দিয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি করারও অভিযোগ উঠল কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এক মহিলাসহ গ্রেফতার হয়েছেন তিনজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেমারির (Memari) তাতারপুরের ঘটনা। গত মঙ্গলবার দুপুরে ফায়ার লেখা একটি গাড়ি দাঁড় করায় তিনজন। নিজেদের ফায়ার অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁদের কাছে ফায়ার লাইসেন্স এবং দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চায় তারা। দেখাতে না পারায় ওই চালকের থেকে মোটা টাকা জরিমানা চায় তিন অভিযুক্ত। ভয় দেখিয়ে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনারও চাপ দেওয়া হয় গাড়ির চালককে। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।                                         


পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মহিলা নিজেকে বিজেপির (BJP) এক্স কাউন্সিলর হিসাবেও পরিচয় দেন। আর এর পরই শুরু হয় হম্বিতম্বি। মেমারির চেকপোস্ট,তাতারপুর এলাকার একাধিক দোকানে গিয়ে কখনও ফায়ার সার্টিকেট দেখতে চাওয়া তো কখনও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে কি না তা নিয়ে দোকানদারকে ধমকচমকও দেওয়া, চলছিল সবই। অভিযোগ, একাধিক দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চায় ওই মহিলা। আর এই সবের সুযোগ নিয়ে জোর করে চড়া দামে দোকানের মালিকদের ফায়ার এক্সটিনগুইসার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কিনতে বাধ্য করছিল ওই দলটি। 


আরও পড়ুন: Howrah News: দূষণের দোসর যত্রতত্র নির্মাণ, সাঁতরাগাছি ঝিল থেকে কি মুখ ফেরাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা?


অত্যাচারের পারদ চড়তে থাকায় সন্দেহ দানা বাঁধে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁরাই খবর দেন মেমারি থানার পুলিশকে। পুলিশ তাঁদের আটক করেছে। পরে পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশসূত্রে খবর, ফায়ার অফিসারের কোনও বৈধ পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি  তারা। পরে তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করার পাশাপাশি সঙ্গে আনা প্রচুর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শিবশঙ্কর প্রজাপতির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ভাদোহী জেলার বাহারিয়া গ্রামে। অন্যদিকে আরও দুই ধৃত দীপক প্রসাদ ওরফে সানু এবং পুজা সাউ-এর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহর লালকুঠি এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই চক্রের নেপথ্যে আর কারা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।