আবির দত্ত, কলকাতা: পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লরি পিষে দিল দাঁড়িয়ে থাকা লরির চালককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই চালকের। এই ঘটনার জেরে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতাগামী লেনে তীব্র যানজট দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। পাথর বোঝাই লরি বিকল হয়ে যাওয়ায় সারাতে নামেন চালক। অভিযোগ, তখনই তাঁকে ধাক্কা মারে পিছনে আসা খালি লরি। দ্বিতীয় লরির চালকও আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর পুলিশ দেরিতে আসে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন, দশ বছরে রেকর্ড পারদ পতন কলকাতায়, একলাফে কমল তাপমাত্রা
এদিকে, পথ দুর্ঘটনায় রাশ টানতে পূর্ব বর্ধমানে সপ্তাহভর প্রচার উদ্যোগ PPRPL-র। আদানি রোড ট্রান্সপোর্টের শাখা সংস্থা পানাগড় পালসিট রোড প্রাইভেট লিমিটেড (পিপিআরপিএল) (PPRPL) তরফে একটি পথ নিরাপত্তা প্রচার উদ্যোগের (Road Safety Awareness Campaign) আয়োজন করা হয়েছিল। গত ১৪ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলায় এনএইচ-১৯ (NH 19) হাইওয়ের উপর 'সড়ক সুরক্ষা-জীবনরক্ষা' শীর্ষক ওই ক্যাম্পেন পালন করা হয়।
সপ্তাহব্যাপী উদ্যোগটি উদ্বোধন করেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আরটিও অনুপম চক্রবর্তী, এনএইচএআই-র প্রজেক্ট ডিরেক্টর স্বপন কুমার মল্লিক, এনএইচ-১৯-র ইন্ডিপেন্ডেনডেন্ট কনসালটেন্ট অরূপ কুমার মিশ্র, পিপিআরপিএল (হেড অপারেশনস অ্যান্ড মেনটেনেনস) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) অরুণ শিবাপালন, পিপিআরপিএল (ম্যানেজার-অপারেশন) কে এম সিংহ, পিপিআরপিএল (সেফটি ম্যানেজার) হরকিৎ সিংহ-সহ অনেকে। সেখানেই লেফটেন্যান্ট কমান্ডার অরুণ শিবাপালন(অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, 'পুরো উদ্যোগটি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও সাহায্য করেছে। এই এলাকাতেই গত ৬ মাসে ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্র্যাফিক আইন নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল।'
দুর্ঘটনা কমাতে Reflective radium stickers বাইক, তিনচাকা ও বহুচাকার যানে লাগানো হয়। পালসিট টোল প্লাজা ছাড়াও পাল্লা রোড জাংশন, শক্তিগড় ট্রাক লে বে, শক্তিগড় মামা ধাবা, পালসিট মেমারি রোড হিন্দুস্তান ধাবা, উলহাস জাংশন, দার্জিলিং রোড, বুদবুদ এবং গলসি সার্ভিস রোডে পথ সচেতনতা অনুষ্ঠান করা হয়। জায়গায় জায়গায় সেফটি ব্যানার ও হোর্ডিং টাঙানো হয়েছিল।