বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipore) সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া এক নেতার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে (Haldia Industrial Area) শোরগোল পড়ে গেছে। বিজেপিকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। 


অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে


পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় এবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি (Recuitment Scam) নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার পুরসভাতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে। সেই আবহেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেতা মোহনলাল মাইতির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, হলদিয়ার একাধিক শিল্প সংস্থা ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছেন চণ্ডীপুরের বিজেপি নেতা মোহনলাল মাইতি। তাঁদের দাবি, চাকরি তো পানইনি, ফেরত পাননি টাকাও। মোহনলাল আগে সিপিএমে ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন।


রাজনৈতিক টাপানউতোর


চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা তোলার কথা স্বীকারও করেছেন বিজেপি নেতা। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা মোহনলাল মাইতি বলেছেন, 'টাকা দিয়েছিলাম অজিত সিংহকে। সে ওই ৩৯টা ছেলের টাকা মেরে দিয়েছে'। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠতেই আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।


চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী বলেছেন, 'বিজেপি দুর্নীতির আঁতুড় ঘর, দুর্নীতি ঢাকতে নেতারা সেখানে গিয়ে ঢুকে পড়ছেন।' পাল্টা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস বলেছেন, 'তৃণমূল নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে এই ধরনের অভিযোগ করছে।' বিজেপি নেতা মোহনলাল মাইতি ছাড়াও আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে চণ্ডীপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- অপেক্ষার অবসান, ভারতে প্রথম মেট্রো ছুটবে গঙ্গার নিচে দিয়ে, দিনক্ষণ ঘোষণা


এদিকে, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার আরও অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৫ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা