বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে জবরদখলের রাজনীতি বন্ধ করতে সুর চড়ালেন মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। দলীয় কর্মিসভা থেকে দলকে একসূত্রে বাঁধতে দিলেন বার্তা। কোন্দল রুখতে ব্য়র্থ হলে অঞ্চল সভাপতিকে ইস্তফা দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। দলীয় ব্যাপার, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির। তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে, কটাক্ষ বিজেপির (BJP)। ভোটের আগে নাটক, খোঁচা সিপিএমের (CPM)।


কর্মীদের শুদ্ধকরণের বার্তা বিধায়কের


যেকোনও দিন ঘোষণা হতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ। যার প্রাক্কালে দলীয় কর্মিসভায় শুদ্ধকরণের বার্তা দিলেন মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী (Tilak Chakraborty)। মঞ্চ থেকেই তিনি বলেছেন, 'দলীয় কর্মীরা রাস্তায় মারপিট করবে, এটা একদিন বরদাস্ত করলাম, পরের দিন বরদাস্ত করব না। এ ধরনের কাজ হলে পদত্যাগ করতে হবে। অঞ্চল সভাপতির ওই জায়গায় থাকা যাবে না।' যার পরে তাঁর সংযোজন, 'দলের কাছে না জানিয়ে কোনওরকম কোথাও জোর করে পার্টি অফিস তৈরি করা, কারও জায়গা জোর করে দখল করে নেওয়া, কারও বেরোনোর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া, এসব কাজে কোনওভাবে কেউ মাথা ঘামাবেন না পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। যদি কোথাও কিছু করতে হয়, আমাদের জানাবেন।'


কোন্দল প্রকাশ্যে


দিন কুড়ি আগে, পাঁশকুড়ায় সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল। শ্যামসুন্দরপুর পটনা সমবায় সমিতির ৯টি আসনে আলাদা আলাদাভাবে প্রার্থী দেয় তৃণমূলের ২ গোষ্ঠী। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রুখতে কড়া বার্তা দিতে শোনা গেল মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ককে। এমনকী দলকে একসূত্রে বাঁধতে ব্যর্থ হলে, মহিষাদলের বেতকুুণ্ডু এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পলাশ হালদারকে ইস্তফা দিতে হবে, এমন হুঁশিয়ারিও দিলেন বিধায়ক। যদিও বিষয়টিকে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি।


খোঁচা বিরোধীদের 


গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে, কটাক্ষ বিজেপির। ভোটের আগে নাটক, খোঁচা সিপিএমের। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস বলেছেন, 'পুলিশি রাজকে হাতিয়ার করে টিকে আছে তৃণমূল আগামীদিনে যে পঞ্চায়েত ভোট আসছে, তাতে যোগ্য জবাব দেবে মানুষ। ওদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে।' পাশপাশি সিপিএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক বলেছেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাধু সাজার চেষ্টা, পলাশ হালদারকে ভোটে ছাপ্পা মারতে তো বিধায়ক নিজেই ব্যবহার করেছেন। পঞ্চায়েতে জবাব মিলবে।'  এখন দেখার, গ্রামবাংলার ভোটের আগে তৃণমূলের শুদ্ধকরণ অস্ত্র কতটা কার্যকরী হয়।


 


আরও পড়ুন- কলকাতা পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ, ফিরহাদের পাল্টা ' প্রমাণ হলে আত্মাহুতি দেব'