সত্য়জিৎ বৈদ্য় ও অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা : কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। ফেসবুকে পোস্টে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। এ নিয়ে সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তিনি। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ (Scam Allegation) উড়িয়ে, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দাবি, পরীক্ষা দিয়েই সবার চাকরি হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর সাফ বক্তব্য, 'যেদিন ববি হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হবে, সিবিআই দরকার হবে না। নিজে নিজেকে আত্মাহুতি দিয়ে দেব।'


ঠিক কী অভিযোগ


কলকাতা পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিয়োগে এবার সোশাল মিডিয়ায় সরব হলেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, কলকাতা কর্পোরেশনের একটি বিশেষ বিভাগে ১৪৮ জন কর্মীর চাকরি হয়েছে। চিঠির তলায় নাম আছে municipal secretary র, বিজেপি কাউন্সিলরের দাবি, সেক্রেটারি মশাই ও মেয়র জবাব দিন l সজল ঘোষের দাবি, '২০১৭ সালে ১৪৯ জনের চাকরি হয়। ১৪৮ জনের মধ্য়ে ১১৮ জন নদিয়ার হাঁসখালির। ৬ জন বৈদ্য়বাটি-ভদ্রেশ্বর থেকে। ২৮-২২ জন ববি দার পাড়া থেকে। নদিয়ার এক এমএলএ দুর্নীতিতে সিবিআই-ইডির স্ক্য়ানারে আছেন।'


'প্রমাণ হলে আত্মাহুতি'


যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'এটা নিয়ে কিছু বলব না। নোংরামি হচ্ছে। যে পরীক্ষা দিয়েছে চাকরি পেয়েছে, আমি কী বলব? যেদিন ববি হাকিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হবে, সিবিআই দরকার হবে না। নিজে নিজেকে আত্মাহুতি দিয়ে দেব।'


অভিযোগ বালতি ঘিরেও !

ফেসবুক পোস্টে CBI-তদন্তেরও দাবি করেছেন সজল ঘোষ। এদিকে, এর ঠিক দু-দিন আগে, গত শনিবারও ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভাকে নিশানা করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সেদিন অবশ্য় বিষয়বস্তু ছিল, পুরসভার তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ময়লা ফেলার জন্য় যে বালতি দেওয়া হয়, সেগুলি। পোস্টে সজল ঘোষ লেখেন, আশা করি কলকাতার মানুষ আপনারা দুটি করে গুজরাটি বালতি পেয়েছেন, আমি বালতির সাথে একটা বিল ও পেয়েছি, একেকটি বালতির মূল্য মাত্র ১১৩ টাকা (GST ছাড়া)l দাম শোনার পর দয়া করে এর ব্যবহার বন্‍ধ করে মেয়ের বিয়েতে যৌতুক হিসেবে তুলে রাখবেন না l


এরপর, KMC-কে ট্য়াগ করে বিজেপি কাউন্সিলর লেখেন, সব মিলিয়ে কত টাকার বালতি এসেছে ? বালতি করে মেয়র এবং মেয়র পারিষদদের ঘরে কত কোটি টাকার কাটমানি এসেছে? এর আগে, মার্চ মাসে, কলকাতা পুরসভার চিফ ল অফিসারের মাসিক চায়ের বিল নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তাঁর দাবি, অর্থের অভাবে যখন পুরসভায় নতুন নিয়োগ বন্ধ, তখন কলকাতা পুরসভার চিফ ল অফিসার মহম্মদ সেলিম আনসারির চা বাবদ মাসে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়! যদিও, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।


আরও পড়ুন- জাতীয় দলের মর্যাদা হারাল তৃণমূল! গোয়া, ত্রিপুরায় ভরাডুবির জের?