বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : বিডিওর বদলিতে বিধায়কের চোখে জল ! নন্দকুমারের বিডিওর বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে কেঁদে ভাসালেন তৃণমূল বিধায়ক। সেই ছবি সামনে আসতেই একযোগে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি ও সিপিএম। 


সরকারি নির্দেশে বদলি হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সি। মঙ্গলবার বিকেলে ছিল তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা। আর সেই অনুষ্ঠানেই বিডিও পরিবর্তনে অশ্রু স্রোতে ভেসে গেলেন শাসক দলের বিধায়ক সুকুমার দে। তৃণমূল বিধায়ককে কাঁদতে দেখে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন বিদায়ী বিডিও।


সরকারি নিয়মে বদল, তাতে এভাবে কেন কান্না ? আবেগপ্রবণ তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার দে বলেছেন, 'করোনার সময় জয়েন করেন। দাপটের সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি করোনার মতো মহামারী রোগের ক্ষেত্রে ,মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন, এটা বিরল। এত সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, ঘরোয়া পরিবেশে, বিডিওগিরি নয়, এটাই তো মানুষের মনের মধ্যে দাগ কেটেছে।'


বিদায়ী লগ্নে তাঁর সহকর্মীদের ছেড়ে যাওয়া নিয়ে খানিক আবেগঘন হয়ে পড়েন বিডিও শানু বক্সিও। তিনি বলেন, 'অফিসটাকে কখনও অফিস মনে করিনি। বাড়ি মনে করেছিলাম। আর মানুষগুলোকে পরিবারের একজন। পরিবারের সঙ্গে যেভাবে মিলেমিশে আমরা থাকি সকলে, সেভাবে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। যেভাবে নন্দকুমার ব্লককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, শুধু একার পক্ষে সম্ভব হত না, এত সুন্দর টিম না থাকলে। সেই টিমকে আজকে ছেড়ে যেতে হচ্ছে। তাঁদের টিমের হয়তো ক্যাপ্টেন ছিলাম। তাঁরাও তাঁদের ক্যাপ্টেনকে আজকে ছেড়ে দিচ্ছে। নতুন ক্যাপ্টেন এসে গেছে দলে। আমার কষ্ট হচ্ছে, যে টিমের সব মেম্বারকে আমি ছেড়ে যাচ্ছি।'


আর যে গোটা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিতে ছাড়েনি বিজেপি-সিপিএম। বিজেপি নেতা প্রদীপ দাস বলেছেন, 'নন্দকুমারের বিধায়ক বিডিওকেই দিয়ে এতদিন তোলাবাজি করেছে, কাটমানি খেয়েছে। নতুন যে আসবে তাকে দিয়ে হয়তো ওনার সেইসমস্ত কাজ উনি করাতে পারবেন না তাই কান্নাকাটি করছেন।' আর সিপিএম নেতা পরিতোষ পট্টনায়ক বলেছেন, 'ওই তৃণমূল বিধায়ক ওই বিডিওকে দিয়ে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন অঞ্চল অফিসের ভেতর থেকে সিপিএম সদস্যকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। ফলে সেই বিডিওর বদলিতে বিধায়কতো চোখের জল ফেলবেই।'                        


আরও পড়ুন- 'রাতে কার সঙ্গে কী কথা' এগুলো প্রশ্ন ! এথিক্স কমিটির বৈঠকে তুলকালাম, মহুয়া-সহ বিরোধী সাংসদদের ওয়াক আউট