ঋত্বিক প্রধান, পটাশপুর( পূর্ব মেদিনীপুর) : জলদুর্ভোগে জেরবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে কেলেঘাইয়ের ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ প্রায় শেষ। এলাকা থেকে জল নামার সঙ্গে সঙ্গে, বেরিয়ে পড়ছে কাঁচা বাড়ির কঙ্কালসার চেহারা। এদিকে বাঁধ সংস্কারে গড়িমসি ও দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। 


এক মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র জলযন্ত্রণায় ভুগছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ১৬ সেপ্টেম্বর, বাঁধ ভাঙার পর থেকে কেলেঘাই নদীর জল ঢুকতে শুরু করে পটাশপুরে। এক মাস জলবন্দি থাকার পর কিছু এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু জল যত নামছে ততই প্রকট হচ্ছে বিভিন্ন গ্রামের কঙ্কালসার চেহারা। 


পটাশপুরের বাসিন্দা কালীপদ মণ্ডল বলেন, জল নেমে যাওয়ার পরে আমরা বুঝতে পারছি আমাদের গ্রামের আসল চেহারাটা। পুকুর থেকে আনাজ , রাস্তাঘাট সবকিছুই প্রায় ধ্বংসের মুখে। মাটির বাড়িগুলোর অস্তিত্ব নেই বললেই চলে, ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি।


২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের তাল ছিটকিনি গ্রামে নদীবাঁধের ভাঙা অংশের মেরামতি শুরু করে জেলা প্রশাসন। ভেসেল ও ড্রেজারের সাহায্যে নদীগর্ভ থেকে মাটি তুলে বাঁধ সারানোর কাজ শুরু হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী। তৃণমূল নেতা ও সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেছিলেন, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। আগামী তিন চারদিনের মধ্যেই বাঁধের কাজ সম্পূর্ণ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।


কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। বাঁধ মেরামতি শেষের পর্যায়ে এলেও, এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। আর সেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ওঁরা বন্যার সময় সাধারণ মানুষের কথা ভাবলেন না। বাঁধ তৈরিতে গড়িমসি করলেন। বাঁধের নগন্য কাজ হয়েছে। খারাপ মানের কাজ হয়েছে। আবার এই সব জিনিসের টেন্ডার হবে। আবার সেখান থেকে কাটমানি তোলা হবে।


পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, সমালোচনা ছাড়া বিজেপি নেতাদের কোনও কাজ নেই। বসে বসে কেবল লোকের দোষ ধরেন। এটাই ওঁদের রাজনীতি।