বিটন দাস, পূর্ব মেদিনীপুর: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) নাম করে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) মহিষাদলে (Mahishadal)। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা মানলেও অভিযুক্ত দেবপ্রসাদ সেনীর দাবি, প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায় বেশ কয়েকজনকে টাকা ফেরতও দিয়েছেন। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে একেকজনের কাছ থেকে ৫-১৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মদতে রাজ্যজুড়ে চাকরি বিক্রির রমরমা, খোঁচা বিজেপির। পাঁচলায় টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে নিশানা শাসকদলের। 


টাকা আমার না বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়


এদিকে জোকা ESI-তে ফের বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আমার কোনও টাকা নেই। সময় এলেই বুঝবেন কে ষড়যন্ত্র করছে। গতকাল হাসপাতালে ঢোকার মুখে এমনটাই মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টা পর, গতকাল মেডিক্যাল টেস্টের জন্য জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডি-র তরফে ছিল কড়া নিরাপত্তা। 


পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন সাংবাদিকের তরফে প্রশ্ন করা হয় যে, কে ষড়যন্ত্র করছে? উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'সময় এলেই বুঝবেন'। টাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হতেই তিনি বলেন, 'আমার কোনও টাকা নেই'। এরপরই প্রশ্ন উঠছে যে তাহলে কি এই টাকার সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িয়ে আছেন? শাসক দলের আরও কারও নাম উঠে আসে কি না তা দেখার এখন।


এদিকে, পার্থ-অর্পিতার একাধিক অ্যাকাউন্ট এর মধ্যেই ফ্রিজ করেছে ইডি। সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৮ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এই টাকার বৈধ উৎস রয়েছে কিনা, কাগজপত্র-নথিপত্রও জানতে চায় ইডি। সেটাই খতিয়ে  দেখা হবে। সূত্রের খবর, এদিনের বিষয়টি আদালতে জানাতে চলেছেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন: খেতে - ঘুমোতে -উঠতে সব সময় ক্যামেরাবন্দি পার্থ-অর্পিতা