বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্য পুলিশের (WB Police) তরফে একাধিকবার 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ' নামকরণে সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন হলেও গাড়ি চালকদের হুঁশ ফেরেনি। প্রায় নিত্যদিন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর আসছে সাধারণ মানুষ তথা যাত্রীদের। এহেন পরিস্থিতিতে আরও একবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapore Road Accident)। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হলদিয়ার গিরিশমোড়ে  বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের এবং আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। 


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হলদিয়ার গিরিশমোড়ে মূলত রাস্তার পাশ বরাবর বাজার বসে। বাজার করতে আসেন এবং হাঁটতেও আসেন অনেকে। ঠিক সেই সময়েই এদিন  বেপরোয়াভাবে লরি আসছিল। এবং ওই লরিটি পথচারীদের ধাক্কা মারে এবং একটি গাছে গিয়ে আটকে যায়। লরিটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, দুজনকে পিষে দেয়। দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে স্থানীয়রা ক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে 'এই সকল যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও সদর্থক ভূমিকা নেই', বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।


আরও পড়ুন, 'ভয়ে যেতে পারছি না ..',হেনস্থার অভিযোগ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের


মূলত, সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। কয়েকদিন আগেই বাঁকুড়ায় কালর্ভাটে ধাক্কা লেগে বাস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ৫০ জন। এর পাশাপাশি মুখোমুখি সংঘর্ষের সংখ্যার তো অভাব নেই। বারংবারং রাজ্যেরই জাতীয় সড়কে পিষে দিতে দেখা গিয়েছে ঘাতক লরিগুলিকে। দুই ভাই স্কুটি করে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও এখনও তাজা। তারপরেও এদিন ফের রাজ্যের এই জেলায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। 


প্রসঙ্গত, সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে শহর কলকাতা। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে।সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারীরা। মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। গত মাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।