কলকাতা: 'তৃণমূল কর্মচারী ইউনিয়নের দাপটে', রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Rabindra Bharati University) যেতে পারছেন না উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় (VC)। কর্মচারী সংগঠনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এমনকি উপাচার্যকে বোতল ছুড়ে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানিয়েছেন উপাচার্য।এবিপি-তে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। 


কর্ণাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য


উল্লেখ্য, কর্ণাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। মূলত তাঁকে রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। উপাচার্য বলেছেন, 'ভয় পাচ্ছি, বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। যেতে পারছি না বিশ্ববিদ্যালয়ে। তৃণমূলের স্লোগান দিতে দিতে অভব্য আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের। নাম বিকৃত করে কটূক্তি, আমার ঘৃণা করছে।'


'মিথ্যে কথা বলবো না, ভয় পেয়েছি'


এদিন তিনি এবিপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মিথ্যে কথা বলবো না, ভয় পেয়েছি। ৭ জুলাই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদে যোগদান করি। আমার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আমি ভেবেছিলাম যে, সমাজসেবামূলক একটা কাজ করবার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে।  আমি তো চিরকাল উপচার্য হব না। কিন্তু কিছু করতে পারি, করব। কিন্তু ওখানকার পরিবেশ কিছুদিন পর থেকেও এতটা কলুষিত হয়েছে যে কাজ করা সম্ভব নয়। আমাদের কর্মচারী ইউনিয়ন যারা রয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, যেটা পশ্চিমবঙ্গ সরকার আছে, তার একটা অংশ বলে নিজেদের বিচার করেন। দুর্ভাগ্যজন ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী নন। এই বোধটাই ওদের নষ্ট হয়ে গিয়েছে।  '


আরও পড়ুন, গোলি মারার স্লোগান যারা দিয়েছে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে বলেছি : মমতা


'মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে, ধরে নিতে হবে এরা টিএমসি-র লোক'


রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য বলেন, এই দলের প্রধান হচ্ছেন মানস ভুইয়া। ওরা যখন আমার ঘরে মধ্যে দাঁড়িয়ে বর্তমান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে, ধরে নিতে হবে এরা টিএমসি-র লোক। আমার প্রধান অসুবিধা হচ্ছে যে, সহযোগিতা না করা। এই কর্মচারীরা ঘরে মধ্যে ঢুকে পড়ছেন। এটা ছোট বিশ্ববিদ্যালয়। এই যে উপাচার্যের ঘরটা সবার জন্য খোলা।যে কোনও লোক যে কোনও সময় ঢুকে পড়তে পারে। এরা দল বেধে সবাই মিলে হইহই করে ঢুকেছে। আমি প্রথম দিকে বলেছিলাম, দুই একজন করে আশুন, সবাই মিলে এসে কী হবে ? তাঁরা তাতে রাজি নয়।'