বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ব্যাঙ্কের এটিএমের প্রায় আঠারো লক্ষ টাকা গায়েবের অভিযোগ খোদ নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধেই। পুলিশের জালে অভিযুক্ত বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী ও তার স্ত্রী। চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ তমলুক আদালতের (Court)।
এযেনও রক্ষকই ভক্ষক। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবারও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন এটিএম-এ টাকা ভরার কাজ করছিলেন এজেন্সির লোকজন । যে গাড়িতে করে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই গাড়িতে ছিলেন দুজন এজেন্সির লোক। একজন ড্রাইভার এবং একজন বন্দুকধারী নিরাপত্তা রক্ষী।এদিন ব্যাঙ্ক থেকে মোট ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে পাঁশকুড়া থেকে তমলুকের রাধামনি পর্যন্ত বিভিন্ন এটিএমে টাকা ভরে আসছিলেন।কিন্তু রাধামনি বাজারের কাছে একটি এটিএম-এ টাকা ভরার সময় হঠাৎ নজরে আসে গাড়ির মধ্যে থাকা টাকার মধ্যে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা কম রয়েছে। সন্দেহ হয় এজেন্সি লোকেদের।
এটিএম-এ টাকা ভরার দায়িত্বে থাকা এজেন্সি তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বন্দুকধারী নিরাপত্তা রক্ষী বুদ্ধদেব জানা ও তার স্ত্রী অলকা জানা-কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও আরও তিনজনকে আটক করে তমলুক থানার পুলিশ। শুক্রবার তমলুক থানা নিরাপত্তার রক্ষী বুদ্ধদেব জানা ও তাঁর স্ত্রী অলকা জানাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কীভাবে ১৮ লক্ষ টাকা খোয়া গেল ? তা নিয়ে তদন্ত করছে তমলুক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, ' মুকুল রায়কে দেখে এলাম, খারাপ লাগল, চোখ বুজে শুয়ে..', জানালেন কুণাল ঘোষ
সম্প্রতি শহরে ফের প্রতারণার শিকার হন এক বৃদ্ধ। খাস কলকাতায় প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে, ১৪ লক্ষ টাকা খুইয়ে ফেলেন বেহালার বাসিন্দা। না অ্য়াকাউন্ট নম্বর, না ওটিপি, এমনকী পাসওয়ার্ড । দাবি, কিছুই শেয়ার করেননি তিনি। অথচ ব্য়ঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল ১৪ লক্ষ টাকা। খাস কলকাতায় প্রতারকদের ফাঁদে পড়লেন, বেহালার বাসিন্দা, সত্তরোর্ধ্ব সুজিত সেন। খোয়ালেন সারাজীবনের কষ্ট করে জমানো টাকা। কিন্তু কীভাবে হল এই প্রতারণা? বৃদ্ধের দাবি, গত ২৩ মে ফ্রিজ কিনবেন বলে গুগলে সার্চ করেছিলেন। সেই সময় কোনও একটি লিঙ্কে ক্লিক করাতে, ফোন আসে তাঁর কাছে। জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি ফ্রিজ কিনতে চান? উত্তরে বৃদ্ধ বলেন- হ্য়াঁ। এরপর তাঁর হোয়াটসঅ্য়াপ নম্বরে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করার পর থেকেই তাঁর ফোনের নেটওয়ার্ক চলে যায়।