কলকাতা: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Incident Update) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১। এসএসকেএমে আরও ১ আহতের মৃত্যু। বছর ২৬-এর পিঙ্কি মাইতির মৃত্যু। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এগরা বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ-সহ ১১ জনের মৃত্যু। ১৬ মে এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১: রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্নভিন্ন দেহ।জলে ভাসছে দগ্ধ মৃতদেহ। গাছে, ঝোপে ঝাড়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পোড়া দেহাংশ। এগরায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে শিউরে উঠেছিলেন রাজ্যবাসী। ঘটনায় গুরুতর জখম আরও একজনের মৃত্যু হল শনিবার। এদিন দুপুরে এসএসকেএমে মারা গেলেন বছর ২৬-এর পিঙ্কি মাইতি।
বিস্ফোরণে শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল পিঙ্কির। শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম রবীন্দ্রনাথ মাইতির। সবেমাত্র কারখানায় কাজে ঢুকেছিলেন তিনি। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৮ জনের। পরে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মারা যান বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ। ফলে এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
এদিকে, শনিবার ওড়িশায় গিয়ে মৃত মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের ভাইয়ের জামাই নিশীকান্ত পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এগরা থানার পুলিশ ও সিআই়ডির একটি দল। তাঁকে কামারদা থানায় নিয়ে এসে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ ও সিআইডি সূত্রের খবর, ভানু বাগকে কটকের হাসপাতালে ভর্তি করতে অ্যাডমিশন স্লিপে সই করেছিলেন নিশীকান্ত পাল।
পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে আরও খবর, হাসপাতালে ভর্তি না করে কোনও জায়গায়ার রেখে ভানু বাগের চিকিৎসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।সূত্রের খবর, ভানুকে কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা জানতে চান পুলিশ ও সিআইডির তদন্তকারীরা।মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ সহ বিস্ফোরণে জখম সকলেরই মৃত্য়ু হয়েছে। ফলে কারুরই বয়ান নেওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের দিন কারখানায় যাননি এমন ব্যক্তিদের খোঁজ করছে সিআইডি। বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হত কিনা তা জানতে চাইছেন সিআইডির গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: Sleep vs Work Performance: রাতভর ঘুম হয়নি! সকালে কাজে মন কীভাবে? রইল সহজ টিপস