ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের প্লাবন আতঙ্ক। পটাশপুরে (Patashpur) বাগুই নদীর জলে প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম। কার্যত জলের তলায় জনজীবন। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছেন এলাকাবাসী।


প্লাবিত বেশ কয়েকটি গ্রাম: নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বর্ষণে উপচে পড়ছে বাগুই নদীর জল। যার জেরে প্লাবিত হল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) পটাশপুর বিধানসভায় এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম। নৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পদিমা, চকগোপাল  সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম গুলিতে হু হু করে ঢুকছে জল। বেশ কিছু মাটির বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। রাস্তাঘাট চলে গিয়েছে জলের তলায়। ডুবে গিয়েছে বহু পুকুর। ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে অন্যের বাড়িতে বা উঁচু জায়গায়। কেলেঘাই নদীর জলও হু হু করে বাড়ছে। আর তার জেরে বাবুই নদীর বাঁধ উপচে জল ঢুকছে পটাশপুরে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।


টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে ফের প্লাবন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যের অন্য জেলাতেও। বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চাষের জমিও। এই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের (Ghatal)। জল বাড়লে কী হবে তা ভেবেই আতঙ্কে স্থানীয়রা। ঝুমি নদীর জলে প্লাবিত ঘাটাল ব্লকের মনসুকা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। পালপুকুর থেকে ঘোড়ই ঘাটে উঠল জল, বন্ধ গাড়ি চলাচল। হাঁটু সমান জলে সাইকেল কাঁধে নিয়ে ঝুঁকির পারাপার করছে স্থানীয়রা। বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগের একটিমাত্রা রাস্তা বলেই দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয়রা বলছেন, জল আরও বাড়লে নামাতে হবে নৌকা। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামে জল ঢোকায় ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। মনসুকা, পার্বতীচক, কোন্দরপোচক সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষি জমি জলের তলায়। ফসল নষ্ট দাম চড়ে বলেই আশঙ্কা সাধারণ মানুষের।


তবে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর বা পশ্চিম মেদিনীপুরই নয়, প্লাবন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, অন্য জেলাতেও। নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভাদুল সেতু দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন আশপাশের প্রায় ৩৫টি গ্রামের মানুষ। মীনাপুর সেতুর ওপর দিয়েও বইছে দ্বারকেশ্বরের জল। যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৮টি গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর জল বইছে মানকানালি সেতুর ওপর দিয়ে। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় এই সেতুটিও ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ৫ অক্টোবর 'রাজভবন চলো' অভিযানের ডাক অভিষেকের