বিটন চক্রবর্তী, তমলুক: ঝাড়গ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী সৌরভ আগরওয়ালকে অপহরণ করে খুনের মামলায় ৪ জনের সাজা ঘোষণা করল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) তমলুক আদালত। ৩ জনকে যাবজ্জীবন এবং এক জনকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। খুশি নিহত ব্যবসায়ীর পরিবার।


৮ বছরের আইনি লড়াই শেষ। ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের মামলায় ৪ জনের সাজা ঘোষণা করল আদালত। স্বস্তিতে নিহত ব্যবসায়ীর পরিবার। শুক্রবার মামলার রায় ষোষণা করে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আদালত। 


দোষী সাব্যস্ত অশোক শর্মা, তাঁর ভাইপো সুমিত শর্মা, অশোকের পরিচারক তোতন রানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তিনজনকে। অন্যদিকে, দীনেশ শর্মা নামে আর এক জনকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন  বিচারক।


ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সৌরভ আগরওয়াল ওরফে রকি। পেশায় ছিলেন নির্মাণ সরঞ্জামের ব্যবসায়ী। পরিবারের দাবি, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল অপহৃত হন রকি। ৬ মে ওড়িশায় উদ্ধার হয় বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। 


তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে নিহতের পারিবারিক বন্ধু পেশায় রেলের ঠিকাদার অশোক শর্মা ও তাঁর স্ত্রী পুনম শর্মা, অশোকের ভাইপো সুমিত, অশোকের পরিচারক তোতন রানা ও আত্মীয় দীনেশ শর্মাকে।


নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মামলা অন্য আদালতে সরানোর জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। সেখান থেকে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, মামলা চলবে তমলুক আদালতে। 


মামলা থেকে আগেই ছাড়া পান সাজাপ্রাপ্ত অশোক শর্মার স্ত্রী পুনম। বুধবার দোষী সাব্যস্ত হন ৪জন।


মালদা বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যসচিবকে তলব


মালদা বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের এডিজি সদর ২ ও মুখ্যসচিবকে (Chief Secretary) দিল্লিতে (New Delhi) তলব করল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)। মালদার (Malda) কালিয়াচকের (Kaliachak) গোলাপগঞ্জে (Gopalgung) বোমা ফেটে (Bomb Blast) ৫ জন শিশু আহত হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এডিজি সদর ২ ও মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে চেয়েছে এনসিপিসিআর (NCPCTR) তথা জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এডিজি সদর ২ ও মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে তাঁদের কাছ থেকে মালদা বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।