বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া: খাদ্য দফতরের ফুড সেফটি অফিসার সেজে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ২ প্রতারক। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ঘটনা। নেপথ্যে কোনও চক্র রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ফুড লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার জাল পাতা হয়েছিল। প্রতারকদের টার্গেট ছিলেন লাইসেন্সহীন দোকানের মালিকরা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার কারবার শুরু করার আগে ধৃত প্রদীপ রুদ্র ও চিন্ময় সামন্ত মাসখানেক আগে মেচোগ্রামের একটি বাড়ি ভাড়া নেন।
অভিযোগ, খাদ্য দফতরের ফুড সেফটি অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে মেচোগ্রামের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ব্যবসায়ীদের ফুড লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা নেন দুই অভিযুক্ত। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে খাদ্য সংরক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নামেও টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতারিত ব্যবসায়ী বাদল কর বলেন, " বলেছিল ফুড লাইসেন্স করে দেবে...টাকা দিয়েছি। আরেক ব্যবসায়ী, দীপককুমার দিন্দা বলেন, "খাদ্য সংরক্ষণের প্রশিক্ষণও দেবে বলেছিল...আমরা তাই টাকা দিয়েছিলাম।"
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার একইভাবে টাকা তুলতে এসেছিল দুই অভিযুক্ত। সন্দেহ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা থানায় খবর দেন। পাঁশকুড়ার আইসি আশিস মজুমদার বলেন, "পুলিশ গিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে...ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা দেওয়ার রিসিটও মিলেছে।" প্রতারণা চক্রে আরও কেউ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে নানা প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রাজ্যজুড়েই। যেমন সম্প্রতি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ভদ্রেশ্বর ইউকো ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। ধৃতের নাম সৌমিত্র মির্দ্দা। অভিযোগ গ্রাহকদের টাকা ফিক্সড ডিপোজিট, বিভিন্ন স্কিমে ইনভেস্টমেন্টের নাম করে তছরুপ করা হচ্ছিল ক্রমাগত। বিষয়টি নজরে আসতে নিজেদের মত করে তদন্ত করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড করা হয় ম্যানেজারকে। ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।
ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে তাঁর বৈদ্যবাটির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রাতে। আজ ধৃতকে চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয়, আট দিনের পুলিশ কাস্টডি। সৌমিত্র মির্দ্দার সঙ্গে আর কে কে জরিত তার খোঁজ করতে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।