বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: গোটা তেইশ সালে একাধিক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ছাত্র মৃত্যু ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU), এমনকি খড়গপুর আইআইটি-রও (IIT)। যদিও প্রতিটা প্রেক্ষাপটই ভিন্ন। আর এবার নতুন বছর পড়তে না পড়তেই ফের এসেছে খারাপ খবর। মেসবাড়ির ছাদ থেকে পড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আইটিআই পড়ুয়ার (ITI Student)। 


পিকনিকে গিয়ে দুর্ঘটনা


হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর বিকাশ জানান, মেসবাড়ির ছাদ থেকে পড়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক পড়ুয়ার। হলদিয়ার গান্ধীনগরে চার তলা বাড়ির ছাদে পিকনিক করার সময় পড়ে গিয়ে এক কলেজ পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। বছর ১৯ এর মৃত ওই পড়ুয়ার নাম সৌমেন দাস। ওই পড়ুয়া কাঁথির দেশপ্রাণ আইটিআই কলেজে (ITI Deshpran) পড়াশোনা করতেন। মঙ্গলবার রাতে এক বন্ধুর ডাকে গান্ধীনগরে পিকনিকে গিয়েছিলেন। তারপর সেখানেই রাতে, দুর্ঘটনাটি ঘটে ।


কীভাবে ওই পড়ুয়া ছাদ থেকে পড়ে গেলেন ?


কীভাবে ওই পড়ুয়া ছাদ থেকে পড়ে গেলেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। মৃত পড়ুয়ার মাথার পিছনে চোট রয়েছে। ঘটনার পরই তাঁকে উদ্ধার করে হলদিয়ার এক বেসরকারি  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ জন পড়ুয়াকে আটক করেছে।


ছাত্র মৃত্যু ঘিরে শিরোনামে উঠে এসেছিল আইআইটি খড়গপুর


গতবছর অক্টোবার মাসে ফের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে শিরোনামে উঠে এসেছিল আইআইটি খড়গপুর ( IIT Kharagpur ) ।  উদ্ধার হয়েছিল  ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। মৃত ছাত্রের নাম কিরণ চন্দ্র। ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন বছর ২১ এর ওই পড়ুয়া। তাঁর বাড়ি তেলঙ্গানার তুপ্রাণ গ্রামে। আইআইটি খড়গপুরের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও মেলেনি না তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া।


আরও পড়ুন, মঙ্গলকোটের মন্দির থেকে বহুমূল্যবান প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি চুরি!


বাইশ সালেও আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। খড়গপুর আইআইটির হস্টেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ফয়জান আহমেদের দেহ।  বি.টেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেম ফয়জান। অসমের তিনসুকিয়া থেকে পড়তে এসেছিলেন আইআইটি খড়গপুরে। ছেলের মৃত্যুতে, CID বা সিট-এর তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। নির্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী র‍্যাগিং আটকানোর সব পরিকাঠামো খড়গপুর IIT’তে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। বিচারপতি আরও বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আসে। তাঁরা এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরাট ক্ষতি হবে। Ragging একটা জঘন্যতম ঘটনা।