কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা ইডির (ED In High Court)। 'রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। শোনা যাচ্ছে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করেছে পুলিশ। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। কিন্তু পুলিশ প্রতিদিন আমাদের অফিসে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে, কোন কোন অফিসার সেদিন গিয়েছিলেন, তাঁদের হেনস্থা করতে নতুন অভিযোগ দায়ের করবে পুলিশ, আশঙ্কাপ্রকাশ করে মামলা ইডির। মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর, কাল শুনানি।
মূলত গতকয়েকদিনে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি অভিযান ঘিরে সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ওই দিন ইডি,সিআরপিএফ জওয়ান থেকে সংবাদমাধ্যম, রেহাই পায়নি কেউই বলে অভিযোগ।সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় ED-র বিরুদ্ধেই FIR দায়ের করেছিল পুলিশের (Police)। তৃণমূল নেতা (TMC Leader) শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahajahan) বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির (Central Agency) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল ন্যাজাট থানার পুলিশ (Police)।
অভিযোগ, না জানিয়ে এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন ED-র অফিসাররা। এ ছাড়াও, সন্দেশখালির ঘটনায় আরও দুটি FIR দায়ের হয়। ED-র অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় FIR। বেপরোয়া অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত আরেকটি মামলা করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। সেখানে সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
অপরদিকে, এর আগেই সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে ED। রাতে রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার SP জোবি থমাসের কাছে ই- মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিযোগে উল্লেখ, কোর্ট ওয়ারেন্ট নিয়ে রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে ED-র আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও ইডির বিরুদ্ধে উল্টো সুরই বলা হয়েছিল পুলিশের এফআইএর-এ।
আরও পড়ুন, পার্থর পর এবার প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নামেও চার্জশিট
মারধর, গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, ED-র অফিসারদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টাকাপয়সা ও গোপনীয় নথিও ছিনতাই করা হয়েছিল। ৩ জন ED আধিকারিক হাসপাতালে ভর্তি। পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি। ED সূত্রে দাবি, পুলিশের কাছে অভিযোগের সঙ্গে হামলার সময়ের ফুটেজ পাঠানো হয়েছে।