পূর্ব মেদিনীপুর: খেজুরিতে ফের সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি (TMC BJP Clash in Khejuri)। খেজুরির রসুলপুর ফেরিঘাটের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কাল ফেরিঘাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। ফেরিঘাটে তালা লাগিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তৃণমূলের (TMC)।এদিকে ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। খেজুরির ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়িতেও ভাঙচুরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। খেজুরির তালপাটিতে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ, বাড়ি ভাঙচুর। ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। 


পঞ্চায়েত ভোটের মুখেও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর। যদিও শুধুই খেজুরি নয়, ময়নাতেও ঘটেছিল মর্মান্তিক ঘটনা। মারপিট, বোমাবাজি, বাড়ি ভাঙচুর,  কিছুই বাদ যায়নি। দুই দলের তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর এসেছিল,  বাকচা পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহলে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তখনই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দল। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল, বিজেপি দুই দলের কর্মীদের বাড়িতে। ব্যাপক বোমাবাজি হয় দু-পক্ষের মধ্যে। বিজেপির সমর্থক লক্ষ্মী ভৌমিক বলেছিলেন, 'আমার ছেলে বিজেপি করে বলে রোষ। তৃণমূলে যেতে টাকা দিতে চেয়েছে। যায়নি।'


সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপির ২জন কর্মী ও তৃণমূলের একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পর, ২৪ সেপ্টেম্বর, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই বাকচা গ্রাম। থামাতে গিয়ে মাথা ফেটেছিল নন্দকুমারের সার্কেল ইন্সপেক্টর তীর্থ ভট্টাচার্যের। ১ বছর পর, ২০১৯-এর ১৪ অক্টোবরে ওই এলাকাতেই খুন হন তৃণমূল নেতা বসুদেব মণ্ডল। আরও একটা পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সেই বাকচা।


 সম্প্রতি দিনহাটার ভেটাগুরিতেও তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের ঘটেছি। দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে (TMC Leader) মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেবার বিজেপির বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বনাম উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীর মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল কোচবিহারের দিনহাটা। আর সেই কোচবিহারের দিনহাটাতেই ফিরেছিল তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ (TMC- BJP Clash)। 


আরও পড়ুন, 'ভারত সরকার লুঠেরাদের টাকা দিতে চায় না..', বিস্ফোরক শুভেন্দু


প্রসঙ্গত, কোচবিহারে দিনহাটায় আক্রান্ত হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়। বোমা-পাথরবৃষ্টি, গাড়ি ভেঙে চুরমারের ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি এলাকায় গুলি চলার অভিযোগও উঠেছিল সেবার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছিল পুলিশ। সেদিন নিশীথের কনভয়কে কালো পতাকা দেখিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ।