বিটন চক্রবর্তী, কোলাঘাট (পূর্ব মেদিনীপুর): করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একাধিক বিধিনিষেধ চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে। যদিও সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ তবুও এখন লোকাল ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে নাকাল নিত্যযাত্রীরা। তার ওপর বাসেও নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এই অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল নিত্যযাত্রীরা।
আচমকা অবরোধের জেরে স্বভাবতই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোলাঘাট থানার পুলিশ। তাঁরা গিয়ে অবরোধ তুলতে যেতেই বচসা বাধে যাত্রীদের সঙ্গে। লোকাল ট্রেন বন্ধের জেরে এমনিতেই নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। তার ওপর আবার বিভিন্ন বাসকর্মীরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি করছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। আর সেই কারণেই পথ অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। পরে অবশ্য কোলাঘাট থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিছুদিন আগেই বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে একজোট হন বালুরঘাটের গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভে পথ অবরোধ করেন। বছরের পর বছর ধরে একই দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি কোনও। অবশেষে বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে জোরাল আন্দোলনের পথই বেছে নিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভে পথ অবরোধ করে তারপর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতেও। এই ছবি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের। জলঘর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, '৩৫ বছর ধরে চককাশি থেকে রাধানগর যাওয়ার এই রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বেহাল রাস্তার কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকী বুধবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। খারাপ রাস্তায় মোটর ভ্যান উল্টে আহত হয়েছেন চালক। এরপরই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন। পরে তৃণমূল পরিচালিত জলঘর পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।
গণ্ডগোলের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিডিও। বালুরঘাটের বিডিও অনুজ সিকদারের কথায়, 'এই রাস্তার জন্য টাকা চেয়ে আবেদন করে রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করব।'