বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: সরস্বতী পুজোকে ঘিরে এক মাস আগেই শিরোনামে এসছিল নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ। পুলিশি প্রহরায় পুজো মেটাতে বাধ্য হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঠিক এক মাস পর ফের তুলকালাম সেই কলেজে। কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের আনাগোনার অভিযোগে অধ্যক্ষের ঘরেই হাতাহাতিতে জড়াল টিএমসিপি ও এবিভিপি।


বহিরাগত ইস্যুতে ফের ময়দানে TMCP ও ABVP। অধ্যক্ষের ঘরে, অধ্যক্ষের সামনেই হাতাহাতিতে জড়াল দুই পক্ষ। ফের শিরোনামে পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ। বুধবারই, কলেজ প্রাঙ্গণে বহিরাগতের আসা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। সেইসময়, অধ্যক্ষের ঘরে চলছিল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। অভিযোগ, আচমকা সেখানে ঢুকে পড়ে দুই পক্ষ। অধ্যক্ষের সামনেই শুরু হয় আরেকপ্রস্থ বাদানুবাদ। মুহূর্তে, তা মোড় নেয় মারামারিতে। যদিও, বহিরাগত অভিযোগ মানতে নারাজ এবিভিপি। যদিও, গোটা বিষয়ে আমল দিতে রাজি নন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি আবু তাহের।


এদিকে, যার সামনে ঘটল গোটা কাণ্ড, সেই অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবেন না। অন্যান্য কলেজের মতো, কয়েক বছর ধরেই নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে, ছাত্র নির্বাচন হচ্ছে না। সেই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। এক মাস আগে, সরস্বতী পুজো নিয়েও উত্তাল হয় কলেজ চত্বর। শেষমেশ পুলিশি প্রহরায় মেটাতে হয় বাগ্‍‍দেবীর আরাধনা। এবারও সেই কলেজে রণাঙ্গনে সবুজ-গেরুয়া।


অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে সিন্ডিকেট-সংঘর্ষে গুলি-বোমাবাজির ঘটনার ৭ দিন পর ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত আসলাম শেখ ও সুদীপ দাস মল্লিক, দু'জনেই উত্তর রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দু'পক্ষের ধুন্ধুমার সংঘর্ষে এভাবেই তেতে ওঠে বজবজ। নির্মীয়মাণ গোডাউনের জন্য় ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের বরাত কাদের হাতে থাকবে? বিজেপির অভিযোগ ছিল, তা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর লুৎফার হোসেন ও উত্তর রায়পুর পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর সিন্ডিকেট বিবাদেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সোশাল মিডিয়ায় তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা। বজবজে সংঘর্ষের ঘটনায়, ৪৩ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করেছিল ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। তার মধ্য়ে তৃণমূলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য়ও ছিলেন। ঘটনার ৭ দিন পর ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: Governor On Maha Kumbh Mela: 'এই কুম্ভ মেলা মৃত্যুঞ্জয় মেলা' বিতর্কের আবহে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যপালের