পূর্ব মেদিনীপুর: 'শুভেন্দু-নৌশাদের ব্যবসা', ভাইরাল অঙ্কের প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্ক (Question Controversy)। মহেশপুর হাইস্কুলের নামে দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্ন ভাইরাল। প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার পর নন্দীগ্রামের মহেশপুর হাইস্কুলের ২ শিক্ষক সাসপেন্ড। এই প্রশ্নপত্র তাঁদের স্কুলের নয়, পরে বিতর্কের মুখে দাবি প্রধান শিক্ষকের। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণির বইয়ের অঙ্কে রয়েছে শুভেন্দু-নৌশাদের নাম।


প্রশ্নপত্র ফাঁসের ছবির একগুচ্ছ উদাহরণ


প্রসঙ্গত, রাজ্যের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ছবির একগুচ্ছ উদাহরণ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে নতুন সিলেবাসের বইয়ে আলোচিত বিষয় নিয়ে বিতর্ক। তবে এবার বোধহয় সেই সব থেকেও আর একধাপ এগিয়ে গেল অঙ্কের প্রশ্নপত্র ঘিরে বিতর্ক। কারণ ওই প্রশ্নপত্রে  'শুভেন্দু-নৌশাদের' নাম রয়েছে। যদিও সেখানে পদবি উল্লেখ না করা হলেও, বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। 


নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ 


 নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে এমনিতেই মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে আসছেন বিরোধী দলনেতা। আইএসএফ বিধায়কের নিশানায় শাসকদল। আর এহেন পরিস্থিতিতেই সেই শিক্ষা ক্ষেত্রেই উঠল বিতর্ক। তবে প্রশ্নপত্রে আসা ওই দুইজনে নামের সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগাযোগ আছে কিনা, এমন দাবি এখনও প্রকাশ্য়ে আসেনি। 


প্রতিবাদী হতে দেখা যাচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের


তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে শিক্ষা ঘিরে নানা ইস্যু তৈরি হয়েছে। নিয়োগের ইস্যুতে মাসের পর মাস প্রতিবাদী হতে দেখা যাচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের। কখনও তাঁদের শহরের রাস্তায় দন্ডি কাটতে দেখা যাচ্ছে। কখনও প্রশাসনের প্রতীকি সাজে কটাক্ষ করতে দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন একটাই সবার মুখে মুখে, নিয়োগ কবে হবে ? তবে অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বাতিল ইস্যুতেও কম জল ঘোলা হয়নি। এত বিতর্কের মাঝেই এদিন আরও এক বিস্ফোরক ইস্যু প্রকাশ্য়ে এসেছে।


আরও পড়ুন, 'লজ্জা থাকলে ক্ষমা চাইবেন..', সৌরনীলকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কাকে নিশানা শুভেন্দুর ? 


৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ


তা হল, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এই প্রথম চাকরি কেনা ৪ শিক্ষক জেলে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের। আদালতে ডেকে ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠালেন বিচারক। আদালতে ডেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের। গ্রেফতার হওয়া ৪ শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বাসিন্দা। তাদের পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে তারা চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন চার অযোগ্য শিক্ষক।