কলকাতা: সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে এশহর। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর আজ সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করলেন শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari)। গোটা ঘটনায় কাকে দায়ী করলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা ?


'কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকারের যদি লজ্জা থাকে, ক্ষমা চাইবেন'


এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আমরা সৌরনীলের আত্মার শান্তিকামনা করলাম। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালাম। ..তাঁর জন্য আমরা সবাই প্রার্থনা করলাম ইশ্বরের কাছে, তাঁর আত্মা যেনও অমরত্ব পায়। এরপরেই শাসকদল ও পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য সরকারের যদি লজ্জা থাকে, গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চাইবেন। আর কারও বাড়িতে যেনও সৌরনীলের মত ঘটনা না ঘটে।'



ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও


সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। এমাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।


দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রাখা যাবে না


এরপর শুক্রবার রাতে লালবাজারের তরফে কলকাতা ট্রাফিক গার্ডগুলির জন্য নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, সকাল ৮টার পরিবর্তে এবার থেকে সকাল ৬টাতেই কলকাতায় আর ট্রাক ঢুকতে পারবে না। পাশাপাশি, সমস্ত স্কুল শুরুর সময় থাকতে হবে ওসি অথবা অ্য়াডিশনাল ওসি র‍্যাঙ্কের অফিসারদের। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে কোনওভাবেই রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রাখা যাবে না। 


আরও পড়ুন, ৬ বছরের মেয়ে কুপিয়ে 'খুন' করলেন বাবা, ছাড়লেন না স্ত্রীকেও


শিশুমৃত্য়ুর পর কড়া নির্দেশ প্রশাসনের


পথ দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্য়ুর পর ইতিমধ্য়েই বেহালা চৌরাস্তা লাগোয়া ১০০টিরও বেশি দোকানগুলিকে বড় রাস্তা থেকে ২ ফুট ছেড়ে বসতে বলা হয়েছে।  বিষয়টি পুলিশ মৌখিকভাবে ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে। বড়িশা হাইস্কুলের সামনে ও বেহালা চৌরাস্তা মোড়ে অস্থায়ী দোকানগুলিকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা ও পুর প্রতিনিধিরা। সঙ্গে ছিলেন CESC ও পূর্ত দফতরের অফিসাররা।