পূর্ব মেদিনীপুর: তেইশ সালে এই জেলাতেই ঘটে গিয়েছিল মর্মান্তিক ঘটনা। এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল একাধিক জনের। সেই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। যার রেশ আজও লেগে আছে। আর এবার সেই এগরাতেই আগুন-আতঙ্ক।

আরও পড়ুন, কালীগঞ্জের তামান্না খুনে অভিযুক্তদের মধ্যে 'মাটি মাফিয়া'দের নাম ! FIR-এ চব্বিশ জনের ১০ জনই একই পরিবারের 

এদিন সাতসকালে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা কলেজে আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ৮টা নাগাদ কলেজের দোতলায় সায়েন্স ল্যাব থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। ধোঁয়া দেখে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর দমকলের ২টি ইঞ্জিন এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, প্রাথমিক অনুমান দমকলের। 

কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে শহরের অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে উদ্বেগ ধরা পড়েছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের কাউন্সিলরদের মধ্য়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে মেয়রের কাছে কেউ দিলেন প্রস্তাব। কেউ করলেন প্রশ্ন। দমকলের নিয়ম মেনে অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থায় জোর দেওয়ার কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।গত কয়েক মাসে ঘটে গিয়েছে বড়বাজার,লেকটাউন, সল্টলেক, খিদিরপুর, বারাসাত- একের পর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড! দায় ঠেলাঠেলি! বারবার একই ছবি। 

মহানগরীর অগ্নিনির্বাপণ ব্য়বস্থায় নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে! কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলের কাউন্সিলরদের গলাতে ধরা পড়ল সেই উদ্বেগ। কলকাতা পুরসভার ৪৯ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শিয়ালদহ স্টেশন, বিদ্য়াপতি সেতু, শিশির মার্কেট, বৈঠকখানা মার্কেটের মতো অঞ্চল ঘিরে রয়েছে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডকে। চারপাশে বহু হোটেল, রাস্তায় অগণিত মানুষের যাতায়াত। জনবহুল এই এলাকায় অগ্নি নির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তৃণমূল কাউল্সিলর। প্রতি ওয়ার্ডে অগ্নি নির্বাপক ব্য়বস্থা হিসেবে গঙ্গাজলকে ব্য়বহার করে ফায়ার ফাইটিং পয়েন্ট গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।

অগ্নি নির্বাপণ ব্য়বস্থা নিয়ে পর্যাপ্ত ব্য়বস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা  মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,'দমকলের কাছ থেকে নির্দেশ আসার পরে কলকাতা পৌরসভা সেই অনুযায়ী কাজ করবে। ওয়াটার কোথায় দেবে? কোথায় রিজার্ভার করবে ? কোথায় ডিপ টিউবওয়েল করবে ? কোথায় স্থায়ী পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হবে এগুলো করে যাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় যাতে আমাদের সমস্যায় না পড়তে হয় দমকলকে, তাই এই কাজগুলো আমরা করব। 'অগ্নিকাণ্ডে রাশ টানতে রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করেছে নবান্ন। বৈঠক হয়েছে পুরসভাতেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে নানা প্রস্তাব-পরামর্শ উঠে এসেছে। কিন্তু শেষ অবধি কী হবে? নিয়ম ভাঙার জেরে আর কোনও অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না তো?