পূর্ব মেদিনীপুর: শুভেন্দুর মুখে ফের ডিসেম্বর হুঙ্কার। রাজ্য পুলিশকে তোপ দাগতেই এবার পাল্টা নিশানা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের সভা থেকে পুলিশকে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছেন,'তোলামূল পার্টির সঙ্গে সন্ত্রাসের ভূমিকা নিয়েছে পুলিশও। বিজেপি কর্মীদের (BJP Workers) মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। পুলিশ শুনে রাখো, বিজেপির অধীনেও কাজ করতে হবে তোমাকে।' আর এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের পর এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'সবার আগে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা উচিত'।


কুণাল ঘোষ বলেন, 'চোর , ঘুষ খোর , তোলাবাজ শুভেন্দু অধিকারী , সিবিআই-র এফআইআর নেমড, সারদা-নারদা-র অভিযুক্ত, যে নিজে গ্রেফতারি এড়াতে, বিজেপির জুতো পালিশ করতে গিয়েছে। সেই চোরের মায়ের বড় গলা ! সিবিআই এবং ইডিকে যদি নিজেদের নিরপেক্ষতা দেখাতে হয়, সবার আগে কলার ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিত। আর এটা কোন দেশি কালচার, বিজেপি নেতা বলছে, অমুকের বাড়ি যাবে সিবিআই ! অমুক গ্রেফতার হবে ! সিবিআই এবং ইডি অফিসারেরা অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের স্টাফ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন ? 


প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সংঘাত-পর্বের পর, শুক্রবারই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারেন বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে ছিলেন আরও ৩ বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দুর সঙ্গে কুশল বিনিময় হয় মুখ্যমন্ত্রীর, সূত্র মারফৎ একথা জানা যায়। পরে শুভেন্দু বলেনও, রাজ্যের স্বার্থে দু’পক্ষের মধ্যে কাজের পরিবেশ তৈরি হোক। বিরোধী দল ও দলনেতাকে মর্যাদা দিক শাসকপক্ষ। এরপর রাজ্য-রাজনীতিতে কম চর্চা হয়নি। তবে, কি পারস্পরিক সম্পর্কের আবহ কিছুটা হলেও ঠান্ডা হল। কিন্তু, তার পরেও রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেছে বিরোধী দলনেতাকে। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়।


আরও পড়ুন, 'ডিসেম্বর মাসে একটা বড় ডাকাত ভিতরে ঢুকবে', ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর


যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একদিন আগেই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে, সেই মুখ্যমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শুভেন্দু বলেন, "মমতা ব্যানার্জি শুনে নিন, CAA কার্যকর হবে। সিএএ বহু চর্চিত বিষয়, সিএএ-র দাবি বারে বারেই করেছি। যেমন কথা তেমন কাজ, সিএএ পাস হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আইনে নেই। আগামী দিনে এরাজ্যে সিএএ চালু হবে। দম থাকলে সিএএ আটকে দেখান। সিএএ বিরোধিতার নামে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে ও হেনস্থা করা হচ্ছে। সিএএ কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার চালু হবে।" সুর আরও চড়িয়ে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। উনি বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা কিন্তু ছাড়ব না।'ফের নিশানা করলেন রাজ্যের শাসকদলকে। তিনি বলেন, 'তোলামূল পার্টির চোরেদের বলছি, দখলের রাজনীতি বন্ধ করুন। থানায় মানুষ আসেন আইনের আশ্রয় নিতে, সেই থানা এখন তৃণমূলের অফিস।'